রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) আইনের আওতায় আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
সাবেক এই তিন সিইসির আমলে করা বিতর্কিত নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইতে পারে সংস্কার কমিশন। গত তিন নির্বাচনের অপরাধগুলো যেন সাবেক তিন সিইসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, সেই সুপারিশ করার কথাও চিন্তা-ভাবনা করছে সংস্কার কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যম সম্পাদককে সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন পরিকল্পনার কথা জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান গত তিন কমিশনকে সংস্কার কমিশন ডাকবে কিনা, তাদের সময় যে অনিয়ম তা শুনবেন কিনা। জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সাবেক তিন কমিশন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা আবার পর্যালোচনা করছি। নির্বাচনী অপরাধগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। আর এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, সেটা নিয়েও আমরা পর্যালোচনা করেছি। গণমাধ্যমও যেন গত তিন নির্বাচনে কী অনিয়ম হয়েছে, তারা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেন নাই, সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন যেন করে। আমরাও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। গত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করে ওই শিক্ষা নিয়ে আমরা প্রস্তাব করবো।
গত তিন কমিশন কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি, আপনারা তাদের ডেকে জানতে চাইবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উনারা কী আসবেন? আমার তো মনে হয় না। আমরা বিবেচনায় নেবো।
২০১৪ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড হয়েছিল। সে সময় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি।
সিইসি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আসন পেয়েছিল পাঁচটি। আর জোটের হিসেবে পেয়েছিল সাতটি।
অন্যদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোটে অংশ নেয়নি। ভোটের ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে অধিক ভোট পড়ার হার দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)