বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ক্রয় প্রক্রিয়া দুর্নীতির সবচেয়ে বড় উৎস বলে মন্তব্য করেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ৭০-৮০ শতাংশ পিপিআর ২০০৬ এবং পিপিআর ২০০৮ রিলেটেড। এদিকে নজর দিলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার স্টাফ কলেজের সেমিনার কক্ষে দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয়নীতি বিষয়ে ১৫ দিনব্যাপী আবাসিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মেডিকেল সেক্টরে কিছু দিন আগেও ঠিকাদার ঠিক করতো মেডিকেলে কি কি ইকুইপমেন্ট ক্রয় করতে হবে। হাসপাতালে গিয়ে বাধ্য করত সেগুলো স্বাক্ষর করতে। স্বাক্ষর হয়ে ঢাকায় আসতো এবং সেই অনুযায়ী মালামাল সাপ্লাই করা হতো। সেই ইকুইপমেন্ট দিয়ে অপারেশনই করা যাচ্ছে না। অধিকাংশই অকেজো।
তিনি আরও বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অসংখ্য দুর্নীতির খবর আপনারা পেয়েছেন। কোথাও অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা হয়েছে কোথাও নিম্নমানের মালামাল কেনা হয়েছে যা এখন ব্যবহার করা যায় না। এসব ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
এছাড়া দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা যেসব বড় বড় দুর্নীতির কথা বলি সেসব দুর্নীতির বড় উৎস হচ্ছে ক্রয় প্রক্রিয়া। আমরা যদি ক্রয় সম্পর্কে সচেতন থাকি, বাজার মূল্য সম্পর্কে সচেতন থাকি এবং যে জিনিসটা ক্রয় করছি সে জিনিসটা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে সচেতন থাকি তাহলে দুর্নীতি লাঘব করা অনেকাংশেই সম্ভব।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) আক্তার হোসেন বলেন, দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম রিজু।
উল্লেখ্য, সরকারি ক্রয়নীতির ওপর ১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দুদকের সহকারী পরিচালক এবং উপ-সহকারী পরিচালক মিলিয়ে ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)