বৃহঃস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়া সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে আমি শুনিনি। কীভাবে হতে পারে সে আলোচনা হয়েছে। আমরা লিখিতভাবে সরকারকে জানাবো, এটা ইসির অধীনে থাকা উচিত। জরুরি ভিত্তিতে এটা সরকারকে জানাবো।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি নিয়ে গেলে সিইসি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আমাদের যখন মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে তখন আমরা এটা জেনেছি। তবে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানি না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকার হয়ত মনে করছে একটা জায়গা থেকে সার্ভিসটা দেবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সেটা হবে এমনটা শুনেছিলাম।
এনআইডি কার্যক্রম না থাকলে ভোটার তালিকায় সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, হবে। এনআইডিটা ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট। ১৭ বছর ধরে এখানে শ্রম দিয়েছে এখানকার লোকজন। এরাই তো এ পর্যন্ত এনেছে। নিজেদের কাজের অতিরিক্ত কাজ হিসেবে এটা করেছে। এটা তো একটা নেটওয়ার্ক। সার্বিক বিষয়এগুলো নিশ্চয়ই সরকার বিবেচনায় নেবে। কমিউনিকেশনের একটা গ্যাপ থাকতে পারে। আমাদের লিখিত মতামত পাওয়ার পর নিশ্চয়ই গ্যাপ থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা সাংবিধানিক বডি। আইন যদি সরকার পরিবর্তন করে ফেলে আমাদের আইন মানতে হয়। কিন্তু আইন বানানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা আমাদের মতামত জোরালোভাবে তুলে ধরবো। যেখানে যেখানে মতামত দেওয়ার দরকার, দেবো।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগ্রহণকারী নই, এটা বুঝতে হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি ইসির পক্ষে কথা বলতে পারি, ইসির পক্ষে সরকারের কাছে অবস্থান তুলে ধরতে পারি। এই টুকু আমি জোরালোভাবেই করবো।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)