শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জরুরি সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অস্বাভাবিকভাবে ও দুরভিসন্ধি করে যারা পণ্য মজুত করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেশে আর কখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
বাজার নিয়ে কেউ যেন কোনো খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, সেটা এবার প্রমাণিত হয়েছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা অন্য পথে হাঁটছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছি। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এবারের নির্বাচন নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটেছে। এখন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলিতা দরকার। ভোট হতে দেবে না, ভোটার যেতে দেবে না— এমন হুমকির পরও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল দেশের মানুষ। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছে মাত্র ৩০ আসন। এরপর থেকে তারা দেশজুড়ে সহিংসতা, অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। নির্বাচন করবে না সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু এ দেশের মানুষ নির্বাচন গ্রহণ করেছে। অথচ কিছু আঁতেল ভোট নিয়ে ধুম্রজাল তৈরির চেষ্টা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা, কেন বাড়লো সেটাই প্রশ্ন। কেউ যদি অবৈধভাবে মজুদ করে থাকে, তাকে সাজা পেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন, নির্বাচন কীভাবে করব— সেটা নিয়ে সভায় আলোচনা হবে। দেশের একটা গোষ্ঠী অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। কিন্তু এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে দেওয়া হবে না। অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)