রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২


বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সুখবর দিল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:২৪ আগষ্ট ২০২৫, ১২:৩৮

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বড় সুখবর দিয়েছে সরকার। এখন থেকে এসব শিক্ষার্থীরা সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল করতে পারবেন ঘরে বসে অনলাইনেই।

শনিবার (২৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানায়।

ওই পোস্টে বলা হয়, বিদেশে পড়াশোনা বা কাজের জন্য শিক্ষাগত সার্টিফিকেট যাচাই করা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং জটিল প্রক্রিয়া ছিল। এতে দূতাবাস ও বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার যেতে হতো, যা অনেকের জন্য চাপ, বিলম্ব এবং অতিরিক্ত খরচের কারণ হতো। যদি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির জন্য সব সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই করা যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ অনলাইন সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল (Apostille) সিস্টেম চালু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পাবলিক ডকুমেন্ট যাচাইয়ের জন্য অ্যাপোস্টিল সনদ দেবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা অনলাইনে নিজেদের শিক্ষাগত সনদ ডিজিটালি যাচাই করাতে পারবে।

এতে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা তাদের শিক্ষাগত কাগজপত্র ডিজিটালি যাচাই করতে পারবেন, যার ফলে দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার দরকার হবে না, সময় বাঁচবে, খরচ কমবে, জালিয়াতি রোধ হবে এবং এসব সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

এতে আরও বলা হয়, দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিকভাবে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না, ফলে সময় ও শ্রম বাঁচবে; ম্যানুয়াল সত্যায়ন ও যাচাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ফি কমে যাবে; ডিজিটাল যাচাইয়ের মাধ্যমে জাল সনদ ও প্রতারণা কমবে। এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে, বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি ও অভিবাসনের জন্য যাচাই প্রক্রিয়া সহজ হবে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এ প্রসঙ্গে বলা হয়, এই ডিজিটাল সিস্টেম ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ কাগজপত্রের প্রক্রিয়া দূর করে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করাতে সাহায্য করবে, যা বৈশ্বিক সুযোগ পেতে সহায়ক হবে। এতে জাল সনদ রোধ হবে, এবং পুরো প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা বাড়বে, তরুণদের স্বপ্নপূরণের পথে এটি সহায়ক হবে।

অ্যাপোস্টিল (Apostille) হলো একটি সরকার কর্তৃক জারি করা প্রামাণ্য স্ট্যাম্প বা সার্টিফিকেট, যা কোনো নথিপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করে। এটি একটি আন্তর্জাতিক সিস্টেম। এ প্রক্রিয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যখন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের নথিপত্র বিদেশে ব্যবহার করতে চায়। একজন বাংলাদেশি নাগরিক যদি বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি বা অভিবাসনের জন্য তাঁদের শিক্ষাগত সনদ, জন্মসনদ বা বিবাহ সনদ ব্যবহার করতে চান, তবে সেই নথি অ্যাপোস্টিল করা প্রয়োজন হতে পারে।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:১৯ ভোর
যোহর ১২:০১ দুপুর
আছর ০৪:৩৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.২৮ সন্ধ্যা
এশা ০৭:৪৩ রাত

রবিবার ২৪ আগস্ট ২০২৫