শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট পেতে জরুরিভিত্তিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলে পাট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট পেতে জরুরিভিত্তিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মিটিং করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষকদের কাঁচাপাটের উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করতে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টি পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাস্টিকের ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরো জোরদার করবেন। দেশব্যাপী সারাবছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, পাট চাষ নিশ্চিত করতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।ফলে পাটকলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে, যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পাটখাতকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতি সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এখাতটি অসামান্য অবদান রাখছে।
বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)