রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা যেন কখনো ভুলে না যাই একটি ফুলে বসন্ত আসে না। বসন্ত এলে বাগানের প্রতিটি গাছেই ফুল ফুটে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা হারানো যাবে না। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতায় বসান এবং তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রথম রি-ইউনিয়ন ২০২৫-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের। এখানে আছেন দেশের গুণী শিক্ষকরা, যাদের সান্নিধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান ও চরিত্র গঠনের অনন্য সুযোগ পাচ্ছে। সুযোগ সবসময় আসে না, আজ যখন কথা বলার সুযোগ এসেছে, সেটি আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ইসলামী স্টাডিজ এবং ইসলামের ইতিহাস নিয়ে অতীতে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিবাদ, ভিন্নতা আর বিভাজন আমাদের পিছিয়ে দেয়। ছোট মানসিকতার মানুষ দিয়ে বড় কাজ হয় না। কর্ণফুলী নদী দেখে যদি কেউ মনে করে এটাই শেষ, তাহলে বঙ্গোপসাগরকে কখনো দেখা যাবে না। আমাদের এমন নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে, যিনি আমাদের ঈমান রক্ষা করতে পারবেন এবং ইসলামী মূল্যবোধে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দীর্ঘদিন পর আমাদের জন্য এক ব্যানারের নিচে এক হওয়ার বিরল সুযোগ এসেছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত হাতছাড়া হলে ভবিষ্যতের ইতিহাস কঠিন হবে। আমাদের অবশ্যই এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ শুধু জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র নয়, এটি ইসলামী মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও মানবতার আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার এক উজ্জ্বল মাধ্যম। এ ধরনের অ্যালামনাই রিইউনিয়ন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে এবং নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার দ্বার উন্মোচন করে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আধুনিক জ্ঞান ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে মানবকল্যাণমুখী সমাজ গঠন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই একাত্মতা সেই প্রয়াসকে আরও এগিয়ে নেবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)