শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) একটি জরুরি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান বলেছেন, রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো এন্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের প্রতি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি করে চলেছে। ফলে বিশ্বজুড়ে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউওএএইচ) কারিগরি সহায়তায় ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার ও করণীয়’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো এ সমস্যার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা হয়, তা যেন যথাযথ হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্য একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে প্রাণিস্বাস্থ্যের ওপর যেমন প্রভাব রয়েছে, তেমনি পরিবেশের ওপরও প্রভাব রয়েছে। তবে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিমাইক্রোবিয়ালসের ব্যবহারের পরিমাণ জানা এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সকে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলাম, কিন্তু বর্তমানে এর যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে এটি ভয়ানক রূপে ধরা দিয়েছে। তিনি এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের অশুভ প্রভাব যেন গবাদিপশু, মাছ, মাংসে না পড়ে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রাণী চিকিৎসায় রেজিস্ট্যার্ড ভেটেরিনারিয়ানের প্রেসক্রিপশন এবং পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা উচিত নয় উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, মানব ও প্রাণিস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কৃষকদের সচেতন করা দরকার। তিনি এন্টিমাইক্রোবিয়ালের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল খামার পর্যায়ে কার্যকর নিয়ন্ত্রকের কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিজ আমিষ যেমন মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং দুধ উৎপাদনে বর্তমানে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও অচিরেই তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার। এ সময় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাউদ্দিন বক্তব্য দেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)