রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ বা বাংলা নামক ভূখণ্ডটি বিশ্বের বুকে সুপ্রাচীনকাল থেকে প্রতিষ্ঠিত ছিল। সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে হাজার বছরের এই চট্টগ্রাম দিয়ে বৈদেশিক বণিকেরা এই বাংলায় প্রবেশ করেন। তবে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড, জাতি হিসেবে যে স্বাধীন সত্তা, সেটি গড়ে ওঠেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যার জন্ম হয়েছিল বলেই ‘বাংলাদেশ’ নামক এ ক্ষুদ্র ভূখণ্ডের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ থেকে শুরু করে তিনি ধীরে ধীরে ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত একটি আলাদা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জাতিসত্তা হিসেবে আমাদের তৈরি করেছেন। জাতির পিতা নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই তৎকালে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৯ শতাংশ অর্থাৎ ১৬৭টি আসন লাভ করে। তখন ইয়াহিয়া খান ও ভুট্ট তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অনীহা প্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল বলেই আমরা বিশ্বের বুকে বিভিন্ন দেশ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছি।
বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসি ফখরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন পয়েন্টে সবাই শেখ মুজিবের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তিনি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমাদের মধ্যে যেকোনো বিষয় মতভেদ থাকে। সত্য যে কোনো একটি ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে ফেলি। কিন্তু এর মধ্যেও শেখ মুজিবুর রহমান যোগ্য নেতা হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমাদের আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কারণে সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে কর্ণফুলীর মতো খরস্রোতা নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে লড়ে বিশাল সমুদ্রসীমা জয় করেছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল, মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)