শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বঙ্গোসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি শনিবার বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
রোববার দুপুরে এটি বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং ভারতের কিছু অংশের ওপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ২২ মে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উত্তর, উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শনিবার বিকেল নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা মডেল বিশ্লেষণ করে বলছেন, আঘাত হানার সময় সাত-আট ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলভাগ প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালায় সারাদেশের আকাশ ছেয়ে যেতে পারে।
শনিবার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সকাল ৯টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো।
এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)