শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রে ‘চোখ’ অবয়ব দেখা গেছে। ফলে এটি ব্যাপক শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের চোখ কী জানতে চাইলে বিডব্লিউওটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন বলেন, একটি সাইক্লোন যখন সংঘটিত হয় তখন আশপাশের মেঘগুলো ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় থাকে। মেঘগুলো যখন ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসে তখন এর প্রধান কেন্দ্র প্রচণ্ড গরম থাকে।
গরমের ফলে ওই জায়গায় প্রচণ্ড শক্তি তৈরি হয়। এর ফলে নিচ থেকে জলীয় বাষ্পগুলো উপরের দিকে উঠে আসে। তখন উপরের জায়গা পরিষ্কার হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ তৈরি হয়েছে বলা হয়। এমন অবস্থা তৈরি হলে চারপাশের মেঘগুলো ঘুরে ঘুরে মাঝখানে একটা চোখের মতো অবয়ব তৈরি করে। এটি মূলত একটি শক্তিশালী সাইক্লোনের লক্ষণ।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, প্রবল শক্তি নিয়েই ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানবে উপকূলে। এর কেন্দ্রে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মতো ‘চোখে’র অবয়ব তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সেন্ট্রাল পয়েন্টকে কেন্দ্র করে যখন মেঘগুলো আবর্তিত হতে থাকে তখন মাঝখানে একটি চোখের মতো অবয়ব তৈরি হয়। এটিকেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ বলা হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষেত্রেও এমন অবয়ব তৈরি হয়েছে। সাধারণত যেসব ঘূর্ণিঝড়ে এমন ‘চোখে’র দেখা পাওয়া যায় সেগুলো শক্তিশালী হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালও প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে মূল কেন্দ্র আঘাত হানবে। তবে এরপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমে যাবে তেমনটি নয়। কেন্দ্র অতিক্রম করা শেষ হওয়ার পর এর শেষ অংশও উপকূলসহ তীরবর্তী অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)