শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দু’দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ থেকে চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে না। তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে। ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির আওতায় ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে ৫ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। সরকার ওএমএসের আওতায় চাল আটা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় করছে। এ ছাড়া বছরে দুইবার প্রতি ইউনিয়নে ৭-৮ হাজার জন হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চায় উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসময় তিনি বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)