শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮২.৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে ২টি বেজমেন্টসহ ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট ৮ তলা মূল ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
সোমবার (৩ জুন) এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী ৷
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। প্রাণিসম্পদের জন্য এ ধরনের ভবন নির্মাণ তারই বহিঃপ্রকাশ।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে, প্রাণে, ভালোবাসায় সমস্ত কিছুতেই এই জাতি ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সারাক্ষণই দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন, প্রাণি নিয়ে ভাবেন। তিনি এ দেশকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান যেখান থেকে এ দেশ কোনোদিন আর পেছনে ফিরবে না, এ দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
নানাবিধ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত জনগোষ্ঠী তৈরির নিমিত্তে দৃষ্টি নন্দন একটি ভবন তৈরি করার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী যে আশা নিয়ে করে দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তা পূরণ করবেন বলে মন্ত্রী এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই ভবন তৈরিকে সামনে রেখে যাতে কোনো বাড়তি উৎপাতের জন্ম না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে যারা দেশকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা মানুষকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা প্রাণী সম্পদকে কন্ট্রিবিউট করতে চাই, তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে। তবে শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে কোন নষ্ট মানুষের জায়গা হবে না এবং আজকের তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে কোনো কিছুই করা যাবে না।
মো. আব্দুর রহমান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর যদি একসাথে একযোগে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটি আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন তা আমরা দিতে পারব। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সেবা ত্বরান্বিত ও অধিদপ্তরের কর্মপরিবেশ ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে ভবনটি বিশেষ অবদান রাখবে।
আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন নান্দনিক এ ভবনটি নির্মিত হলে সেবাগ্রহীতাদের সেবাপ্রদান আরও সহজতর হবে বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ভবনটির আয়তন প্রায় ১ লাখ স্কয়ার ফিট। ভবনটিতে ২টি বেইজমেন্ট রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে। এছাড়া ভবনটিতে প্রায় ২২০ জনের মাল্টিপারপাস হলরুম, ৬০ জনের ১টি কনফারেন্স রুম, ২৫ জনের ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৬০ জনের ১টি প্রশিক্ষণ রুমের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও ৩৫ জন নারী ও ১২২ জন পুরুষের পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, পুরুষ ও নারীদের পৃথক ওয়াশরুম, রিসিপশন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ওয়েটিং রুম, সার্ভার রুম, ডে-কেয়ার সেন্টার, ডক্টরস রুম ও ক্যাফেটেরিয়ার সু-ব্যবস্থা থাকবে।
ভবনটিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, জেনারেটর ও ৪টি লিফট, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আরবরিকালচার ও ট্রেস গার্ডেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভবনটির নির্মাণ কাজের পিরিয়ড ধরা হয়েছে ১৮ মাস।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)