রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ২৭ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে।
বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্বে করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়াসহ হাসপাতালগুলোর পরিচালনার জন্য এমএসআর খাতে মোট বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকা ওষুধবাবদ ব্যয় করা হয়। সেই আলোকে হাসপাতালগুলোকে ওষুধ খাতে বরাদ্দকৃত ৭০ শতাংশ টাকার সব ওষুধই নিম্ন আয়ের রোগীরা পাচ্ছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি বিভিন্ন কোম্পানির মোট ৬৩টি ওষুধের মূল্য কমিয়েছে।
সামন্ত লাল বলেন, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিনামূল্যে পর্যাপ্ত ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ অন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত রোগীদের উন্নতমানের ডায়েট খাবার দেওয়ার লক্ষ্যে দফায়-দফায় অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।
সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে ওষুধের দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্য সমাজের সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে সরকার সদা সচেষ্ট রয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে প্রাইসিং পলিসি প্রণয়ন করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে সরকার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা করেছে। অত্যাবশ্যকীয় প্রিমার্জ হেল্থ কেয়ারের তালিকাভুক্ত ১১৭টি জেনেরিক ওষুধের মূল্য সরকার নির্ধারণ করে থাকে। এ ছাড়া, তালিকা বহির্ভূত অন্যান্য জেনেরিক ওষুধের মূল্য সংশ্লিষ্ট ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে ভ্যাট প্রদানের নিমিত্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে মূল্য সনদ গ্রহণ করে থাকে।
ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৪ এর ৩০ ধারায় সরকার ওষুধের তালিকা প্রস্তুত করে গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা তালিকাভুক্ত এবং আমদানিকৃত ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে বলে উল্লেখ রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)