শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২টি স্পেশালসহ মোট ৬৯টি ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। এসব ট্রেনে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আজ (শনিবার) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ১২ জুন থেকে এবারের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গন্তব্যে যেসব ট্রেন আমরা পরিচালনা করেছি সেসব ট্রেনের যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে এবং ভোগান্তিহীনভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে।
সবগুলো ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। যাত্রীরা আমাদের ব্যবস্থাপনায় অনেকটা আনন্দিত হয়েছে। আমরা এবার বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার প্রবণতাটা একটু কম দেখেছি। যাত্রীরা সচেতন হয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি, ডিএমপি, র্যাব এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সব বাহিনী সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর, ভোগান্তিহীন নিরাপদ ঈদ যাত্রা উপহার দিতে পেরেছি। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয় এড়িয়ে অত্যন্ত নিরাপদে মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তঃনগর টিকিট বিক্রি করতে পেরেছি। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের ছিল না। কিন্তু এই ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিটের বিপরীতে চাহিদা ছিল ব্যাপক। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে চেয়েছিল। বেশিরভাগ যাত্রী হয়তো অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। এখন এই টিকিটগুলো পাওয়ার জন্য এই যে ব্যাপক চাওয়া এই চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র টিকিট প্রিন্ট আউট করে, এডিট করে বিভিন্নভাবে অনেককে প্রতারিত করেছেন। তাদের র্যাব ধরেছে।
তিনি বলেন, আজকে সারা দিনে ২টা স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। আশা করছি এই ট্রেগুলোর মাধ্যমে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ছাকা ছাড়তে পারবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সকল পর্যায়ের একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)