শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে সেটা কোনোভাবেই উচ্চাভিলাষী নয় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বাজেট বাস্তবায়নের মতো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সক্ষমতা সরকারের আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেটের সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে, এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।
সরকারের লক্ষ্য মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।
বাজেটের যারা সমালোচনা করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলেছেন, কেউ বলেছেন ঘাটতি বাজেট। কিছুক্ষণ আগে বিরোধীদলীয় নেতা বললেন এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার কমাতে হবে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমাতে হবে ইত্যাদি। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে কি না। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই তো আমাদের কাজ। চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো আমরা চলতে চাই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
যারা সরকারের উন্নয়ন দেখে না তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা যেন গ্রামে গিয়ে উন্নয়ন দেখে আসে। আগে উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা থাকলেও এখন সেখানকার মানুষেরা চার বেলা খেতে পারে বলে জানান সরকারপ্রধান।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামাতে সরকার আন্তরিক জানিয়ে সংসদ নেত্রী বলেন, আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)