শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রাজপথ ছাড়ছেন না আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার সারা দেশে সর্বাত্মক ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামছেন শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচির ফলে রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলো তীব্র যানজটের কবলে পড়তে পারে।
আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনের নেতারা। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এই ব্লকেড কর্মসূচি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
আজ যেসব স্থানে ব্লকেড–
ঢাকার ভেতরে : শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ফার্মগেট, চানখারপুল মোড়, চানখারপুল ফ্লাইওভারে ওঠার মোড়, বঙ্গবাজার, শিক্ষা চত্বর, মৎস্য ভবন, জিপিও, গুলিস্তান, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, রামপুরা ব্রিজ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, মহাখালী, বাংলামোটর, আগারগাঁও।
ঢাকার বাইরে : রাজশাহী (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী কলেজ); সিলেট-সুনামগঞ্জ রোড (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়); ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়); বটতলা চত্বর (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়); ময়মনসিংহ (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়); রংপুর মডার্ণ মোড় (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়); দেওয়ান হাট (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজগুলো); খুলনা, নতুন রাস্তা, দৌলতপুর (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা); গাজীপুর (আওয়ালে বদরে আলম সরকারি কলেজ, গাজীপুর); নোয়াখালী প্রেসক্লাব (নোয়াখালী জেলার শিক্ষার্থীরা); ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে; ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক (পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়); ঢাকা-দিনাজপুর রোড (হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়); ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়); ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়); ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়); ঢাকা-বরিশাল (বিএম কলেজ)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী সারা দিন দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করা হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে এবং রেলপথও এই ব্লকেডের আওতায় থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। এ আন্দোলনের ফলে জনসাধারণের যে ভোগান্তি হচ্ছে তার প্রতি আমরা সংবেদনশীল। কিন্তু এর দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে। কারণ এতদিনের আন্দোলনের পরেও তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেনি। আমরা চূড়ান্ত সমাধান চাই। আমরা চাই, অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম ৫ শতাংশে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। যেন পরবর্তীতে এটি আবার সমস্যা হিসেবে সামনে না আসে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)