শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে ভোট চুরির দরকার পড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি ভোট চুরি করতে পারবে না বলে নির্বাচনে আসেনি বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এভাবে মানুষের হৃদয় জয় করে মানুষের ভোট পাই। তাই আমাদের জনগণের ভোট চুরি করতে হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। জিয়াউর রহমান যখন ভোট চুরির জন্য হ্যাঁ-না ভোট করেছিলেন, আওয়ামী লীগ তখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে দিয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এই স্লোগানটিও আমাদের দেওয়া। আমরাই জনগণের হাতে ভোটাধিকার এনে দিয়েছি।
বিএনপিকে খুনি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ তাদের ২০০৮ সালে প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা তারা শুধু এটাই জানে। এখন আবার নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, শুনেছি, সে নাকি ক্যাসিনো থেকে টাকা কামাই করে৷ জুয়া খেলে টাকা কামাই করে সে টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে এলেও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দলটিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, তারা আন্দোলনেও সফল হতে পারবে না বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করতে আমি প্রস্তুত। বোমা-গ্রেনেড কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরেন। এসব উন্নয়নের কারণে ঢাকাবাসী আবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী।
বক্তৃতা শেষে ঢাকা মহানগরীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৫টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন দলীয় প্রধান। তাদের ‘রত্ন’ আখ্যায়িত করে বলেন, ঢাকাবাসীর জন্য ১৫টি রত্ন দিয়েছি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)