বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৩টি গাড়ি। এছাড়া আরও ২৮টি গাড়িতে চালানো হয়েছে ভাঙচুর। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) এই ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় শত কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কোটা আন্দোলনে একদল দুর্বৃত্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেতরে ঢুকে যায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনের সামনে পার্কিংয়ে রাখা ২৩টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়াও ভবনের প্রধান ফটক ও ভবনের গ্লাসসহ ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন অফিসের ২৮টি গাড়ি।
হামলার ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মহাখালী কাঁচাবাজারের পাশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবন, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি ভবন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর (আইপিএইচ), জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে রোববার (২১ জুলাই) নিজেই ঘটনাস্থলে যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের সার্ভার থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টা কোন না কোন কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর কিছু কর্মচারী বন্ধের দিনও দায়িত্বরত ছিলেন।
তারা জানিয়েছেন, হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা শুরু হলে কয়েকশ আন্দোলনকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেটের কাছে ছুটে আসে। এখানে আওয়ামী লীগের কর্মী আছে বলে তারা চিৎকার করতে থাকে। গেট বন্ধ থাকলেও সবাই মিলে ধাক্কা দিয়ে গেট ভেঙে প্রবেশ করে একাধারে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
তারা আরও জানান, এক পর্যায়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গান পাউডার ব্যবহার করে গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ২৩টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষও।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)