সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দুই দফা নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর সেতু ভবন পরিদর্শন করতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে ভবনটি পরিদর্শনে যান সরকারপ্রধান। তিনি তাণ্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ঘুরে দেখছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ডাকে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলার সময় গত ১৮ ও ১৯ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই দুই দিনই হামলা হয় সেতু ভবনে।
হামলার সময় সেতু ভবনের সামনে থাকা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় নিচতলাসহ কয়েকটি ফ্লোর। এসব ফ্লোরে ভাঙচুরও চালায় হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন : ‘দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই এমন তাণ্ডব’
দুই দিনের তাণ্ডবে ৫৫টি গাড়ি পুরোপুরি পুড়ে গেছে বলে সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়া ভবনের নিচতলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, মিলনায়তন, ডে-কেয়ার সেন্টার পুরোপুরি পুড়ে যায়। ওপরের ফ্লোরগুলো কম পুড়লেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সর্বশেষ হামলার আট দিন পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভবনটির ধ্বংসযজ্ঞ দেখে সরকারপ্রধানকে হতাশ ও অসন্তুষ্ট দেখা গেছে।
সেতু ভবন পরিদর্শনের আগে সকালে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নেন এবং আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই নাশকতাকারীরা এমন তাণ্ডব চালিয়েছে।
সহিংসতার পুলিশের ওপর আঘাত করার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশের ওপর আঘাত, মানুষ মেরে ঝুলিয়ে রাখা এ কেমন রাজনীতি।
তারও আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে সহিংসতার সময় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর অবস্থা দেখতে রাজধানীর মিরপুর ১০-এ মেট্রোরেল স্টেশনে যান প্রধানমন্ত্রী। পরদিন শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। একইদিন বিকেলে সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান। সেখানে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে বলেন, দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর দেশবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)