শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল ১১টা থেকে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কোথাও তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক রয়েছে মিরপুর এলাকাও। এ এলাকায় যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে সড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন শতশত পুলিশ সদস্য।
গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে, এই ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন আরও কয়েকজন সমন্বয়ক।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাড়ানো হয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। পাশাপাশি গোলচত্বর থেকে শেওড়াপাড়ার দিকে যাওয়ার সড়কেও বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের কিছুটা চাপও রয়েছে।
এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে উত্তরা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অলিগলিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। প্রধান সড়কে টহল জোরদার করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আজমপুরে সড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবস্থানও দেখা গেছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালীতেও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশের মিরপুর বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জামায়াত-শিবিরের দুষ্কৃতকারীরা আবারও এখানে ঝামেলা করতে পারে।
এই খবরেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। আপনাদের নিরাপত্তা দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর কোনো সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করার খবর পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)