শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। নিয়মিত কর্মীদের সাথে রয়েছেন স্থানীয় ভলান্টিয়ারগণও। ২১ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ২৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধারকাজের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখতে ঢাকায় খোলা রয়েছে মনিটরিং সেল।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় মনিটরিং সেলে বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সকাল ১১টায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অপর এক জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। এ সময় তিনি বন্যাদুর্গত এলাকার সার্বিক উদ্ধারকাজের খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় উপপরিচালকের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের ১টি দল এবং ঢাকা ও বরিশাল থেকে প্রতিটিতে ১০ সদস্যবিশিষ্ট আরো ৩টি উদ্ধারকারী দল ফেনী ও বন্যাকবলিত এলাকায় প্রেরণ করা হয়। উদ্ধারকারী দল ওয়াটার রেসকিউ টেন্ডার, টিভি ক্যান্টার গাড়ি, হাইয়েস মাইক্রোবাস, রেসকিউ কমান্ড ভেহিক্যাল, জেমিনি বোট, ইন্জিনসহ ইনফ্লোটেবল বোট, লাইফজ্যাকেট, লাইফবোট, রিং বয়া, ডাইভিং সেট, থ্রোয়িং ব্যাগ, রেসকিউ রোপসহ বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ফেনীর উদ্দেশে আজ দুপুরে রওনা হয়ে গেছে। এছাড়া কাল ২৩ আগস্ট বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করতে যাবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন। সাথে থাকবেন পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স)।
আজ ২২ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ১৩৯ জন পুরুষ, ৯৯ জন নারী (যাদের মধ্যে ২ জন গর্ভবতী) ও ২২ শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যগণ। উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণের জন্য হটলাইন নম্বর ১০২ এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু রয়েছে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য মনিটরিং সেলের ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বরে বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এও কল করা যাবে। মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার ফায়ার স্টেশনসমূহ এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমেও সেবাগ্রহণকারী সকলেই দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা বন্যা-সংক্রান্ত দুর্যোগে উদ্ধার বিষয়ক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ফায়ার স্টেশনগুলোকে আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)