বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২.৬ মিলিয়ন টন গম আমদানির টাকা পরিশোধ করেছে। বন্যাসহ বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আমদানিকৃত গমের সর্বশেষ চালানের টাকা পরিশোধ সম্ভব হয়নি। সার্বিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহ (রপ্তানি) অব্যাহত রাখার জন্য রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
বৈঠকে উপদেষ্টা বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী অন্যতম দেশ। জি টু জি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে গম ও সার আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২.৬ মিলিয়ন টন গম আমদানির টাকা পরিশোধ করেছে। বন্যাসহ বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আমদানিকৃত গমের সর্বশেষ চালানের টাকা পরিশোধ সম্ভব হয়নি।
সার্বিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহ (রপ্তানি) অব্যাহত রাখার জন্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত আকারে রাশিয়াকে অবহিতকরণের অনুরোধ করেন এবং সেক্ষেত্রে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়া বিনামূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বা এক জাহাজ পটাশ সার সরবরাহ করবে। উপদেষ্টা এ জন্য রাশিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি সারের পাশাপাশি বাংলাদেশকে এক জাহাজ গম বিনামূল্যে সরবরাহ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা একমত প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে এ খাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)