শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চপদে বড় রদবদল আনা হয়েছে। মেজর জেনারেল পদমর্যাদার দুই কমর্কতাকে পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমানকে লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি পদে রদবদল আনা হয়।
পদোন্নতি পাওয়া ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) জিওসি মো. মাইনুর রহমানকে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি করা হয়েছে।
আর ডিজিএফআইর নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম। তিনি কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে গত ৬ আগস্ট আর্টডকে পাঠানো হয়। আর আর্টডকের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে বানানো হয় কিউএমজি। গত ১২ সেপ্টেম্বর তাবরেজকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আর মজিবুরকে করা হয় বরখাস্ত। এরপর থেকে দুটি পদই খালি ছিল।
নতুন কিউএমজি ফয়জুর রহমান গত ১২ আগস্ট ডিজিএফআইয়ের ডিজির দায়িত্ব পান। তার আগে তিনি ছিলেন মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কমান্ড্যান্ট।
আর আর্টডকের নতুন জিওসি মাইনুর রহমান চট্টগ্রামের আগে কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে ২৪তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া এ কর্মকর্তা ২০২২ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরুর পর সেনাবাহিনীতে কয়েক দফা রদবদল করা হয়। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং বরখাস্ত করা হয় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)