শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন এবং প্রশমন কৌশলে ন্যায়সংগত অর্থায়নের দাবি করেছেন। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকায় পরিবেশ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত ‘রোড টু বাকু: কপ২৯— বাংলাদেশে সিএসওগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অবস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে। তিনি আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংকট মোকাবিলায় ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি জানান, উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু সমস্যার সমাধান করলেও প্রকৃত জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
তিনি অভিযোজন পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং তরুণদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান। এছাড়া, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরার এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। এটির মূল লক্ষ্য ছিল কপ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের একটি সমন্বিত অবস্থান গঠন করা। এতে অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু অর্থায়ন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জলবায়ু সহনশীলতা নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে, কপ২৯ সম্মেলনে শক্তিশালী এডভোকেসির আহ্বান জানানো হয়, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় শোনা যায়। প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সহনশীলতা গঠনে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
এ সময় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, এনএসিওএম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম মুনজুরুল হান্নান খান, এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)