রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আওয়ামী লীগ ও ভারত ইস্যুতে কোনো ধরনের নমনীয়তা চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এমন কোনো অপরাধ নেই যা করেনি। তাদের ব্যাপারে কোনো আপস করা চলবে না। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
রোববার (১০ নভেম্বর) গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামীর বাংলাদেশে বুড়োদের প্রতি আর কোনো আশা রাখা যায় না। এটি মনে রাখতে হবে, এখন যুবকদের হাত ধরেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। এখন যুবক বয়স যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বলেছি, এই প্রধানমন্ত্রী যার কোনো ভিত্তি নেই তাকে আমরা মানি না। সেজন্য আমাকে ওয়াজ মাহফিলে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর ফায়সালায় আজকে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা শত শত মানুষের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আপনারা খুব সহজেই ক্ষমতায় আসতে পারেন নাই। আপনারা কোনো ভাবেই ভারত ও আওয়ামী লীগের ব্যাপারে নমনীয়তা পোষণ করবেন না। এদেশের ছাত্র সমাজ তা মেনে নেবে না। উদারতার নামে জালেমদের প্রতি নমনীয়তা মজলুমদের সঙ্গে গাদ্দারি করার সমান।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এবং ভারতের সঙ্গে কোনো নমনীয়তা চলবে না। আমরা উপদেষ্টা বানাতে পারি তেমনি উপদেষ্টা ফেলতেও পারি। আমরা আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকারকে) ক্ষমতা এনেছি যেন আপনারা বিপ্লবের ভাষা বোঝেন। আমাদের পালস বুঝেন। আমাদের পালস ভারত বিরোধী। আপনাদের সেটি বুঝতে হবে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামতে পারেনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতাকর্মীরা। গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়তে হয় দলটির নেতাকর্মীদের। এর মধ্যে আবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ অবস্থার মধ্যেই নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আজ (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এই সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)