সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২


গণতন্ত্রের পথে আমাদের অভিযাত্রা সফল হোক

জুবায়ের হাসান

প্রকাশিত:৩০ জুন ২০২৫, ১৭:০৪

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

হাসিনা পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে একটি নির্বাচন আয়োজনের তারিখ খোঁজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনের তারিখ, নির্বাচনের পদ্ধতি ও ধরন, সংবিধানের সংস্কার, রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, পতিত ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীর দ্রুত বিচার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মতভেদ আছে। আশা করা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো সব বিবাদ ও মতভেদ পেরিয়ে বাংলাদেশ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে।

বর্তমান বিশ্বে আমরা প্রধানত তিন ধরনের গণতন্ত্র দেখতে পাই। সেগুলো হলো: প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির গণতন্ত্র, সংসদীয় পদ্ধতির গণতন্ত্র এবং আধা-প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির গণতন্ত্র। প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির গণতন্ত্রের আদর্শ দৃষ্টান্ত হলো বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; সংসদীয় গণতন্ত্রের আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে সাধারণত ধরা হয় গ্রেট ব্রিটেনকে; আর আধা-প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি গণতন্ত্রের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয় ফ্রান্সকে। ফ্রান্সে মানুষ যেকোনো দেশের মানুষের তুলনায় অনেক বেশি ব্যক্তি স্বাধীনতা ভোগ করে। কিন্তু তথাপি ফরাসিরা পারেনি গ্রেট ব্রিটেনের মতো উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে। ফ্রান্সে গণতন্ত্র গড়ে উঠেছিল অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে। ফ্রান্সে একসময় ঘটতো ঘন ঘন মন্ত্রিসভার পতন। যেমন: ফ্রান্সে তৃতীয় রিপাবলিক (১৮৭০-১৯৪০) চলেছিল একটানা সত্তর বছর। কিন্তু এ সময় দেশটির মন্ত্রিসভার পতন ঘটেছিল ১৬০ বার। সেসময় ফ্রান্সে আমলাতন্ত্র প্রাবল্য পেয়েছিল এবং দেশটি চলেছিল প্রধানত দেশপ্রেমিক আমলাদের নির্দেশে। সরকারের ধারাবাহিকতা প্রবহমান থেকেছে তাদের মাধ্যমেই। আমলাতন্ত্র নির্ভর এ রকম একটা সরকার দেশকে ভেতর থেকে দুর্বল করে তুলতে পারে। কিন্তু দেখা গেল ব্রিটেনের পর ফ্রান্সের সাম্রাজ্য হয়েছিল সবচেয়ে বড়।

ফ্রান্সের ইতিহাসে যাকে বলে চতুর্থ রিপাবলিক, তা চলেছিল ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত। চতুর্থ রিপাবলিক টিকে ছিল প্রায় ১২ বছর। এই ১২ বছরে ফ্রান্সে মন্ত্রিসভার পতন ঘটেছিল ২০ বার। তাই বলা যায় না ফ্রান্সে ভোট ছিল, আর তাই সেখানে ছিল গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের জন্য ভোট প্রয়োজন। ভোট না থাকলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তবে ভোট থাকলেই যে যথাযথ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা উদ্ভূত হয় তা নিশ্চয় নয়। বস্তুত আমরা বাংলাদেশে ভোট ও গণতন্ত্রকে সমার্থক করে তুলতে চাচ্ছি। যেটা যথাযথ হচ্ছে বলে মনে করার কোনো ভিত্তি নেই। আধুনিক ফ্রান্সের জনক হলেন জেনারেল দ্য গোল। তিনি একটি সামরিক ক্যু'র মাধ্যমে ফ্রান্সে ক্ষমতায় আসেন ১৯৫৮ সালের মে মাসে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ফ্রান্সে প্রবর্তন করেন আধা প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় যেমন থাকেন প্রেসিডেন্ট, তেমনি আবার থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা থাকে বেশি। প্রেসিডেন্টের হুকুম ছাড়া মন্ত্রিসভার পতন হতে পারে না। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে মন্ত্রিসভা পেতে পারে অনেক স্থায়িত্ব। সাবেক পাকিস্তানে একটি সামরিক ক্যু'র মাধ্যমে জেনারেল আইয়ুব খান ক্ষমতায় আসেন ওই ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে মাসে। আইয়ুব খান কিছুটা প্রভাবিত হন ফ্রান্সের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে। তিনিও গ্রহণ করেন ফ্রান্সের মতো আধা প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার। বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও গ্রহণ করেন আধা প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা। শহীদ জিয়া রাজনীতিতে ফরাসি ধাঁচের আধা প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির গণতন্ত্র অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন যাতে সরকারের থাকতে পারে স্থিতিশীলতা ও কর্মদক্ষতা। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে ক্ষমতায় এসে অনুসরণ করেন সেই একই আধা প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি। প্রেসিডেন্ট এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই সংসদে একটি সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে প্রবর্তিত হয় ব্রিটিশদের মতো সংসদীয় শাসন পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা। ওই বছরই গণভোটের মাধ্যমে তা চূড়ান্তভাবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু এই সংসদীয় শাসন পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলেও তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত হয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। কিন্তু ২০১১ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেয়। ফলে এদেশের গণতন্ত্রের আকাশে কালো মেঘ দেখা যায়। শেখ হাসিনা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছিলেন সেই তিনিই তা আর মানেন না। তিনি পরপর তিনটি জোর জবরদস্তিমূলক অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে স্বৈরশাসক হয়ে ওঠেন। এখন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা এবং আওয়ামী শাসনের পতনের পর বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্রে ফেরার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে।

গণতন্ত্রে খুব বেশি সংখ্যায় দল হলে অনেক দেশেই হতে দেখা যায় ঝুলন্ত মন্ত্রিসভা। এতে দেশের সরকার হয় দুর্বল। গণতন্ত্র দ্বিদলীয় হলেই তখন গণতন্ত্র হতে পারে মজবুত, সরকার হতে পারে স্থিতিশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগে কোনো ব্যক্তি ভোট পেলে যতবার ইচ্ছা প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন। এ ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা ছিল না। কিন্তু ১৯৫১ সালে মার্কিন কংগ্রেস পাস করে সংবিধানের ২২তম সংশোধনী। এখন আর কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুইবারের বেশি অথবা আট বছরের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এই সংশোধনী আনার কারণ হলো কোনো ব্যক্তি যাতে মহাক্ষমতাধর হয়ে উঠতে না পারেন। একমাত্র প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন দ্য রুজভেল্ট ছাড়া কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। রুজভেল্ট চতুর্থ বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময় মারা যান। তার মৃত্যুর পর ওঠে মার্কিন সংবিধানের ২২তম সংশোধনী আনার প্রশ্ন। মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিদায়ের আগে বলেছিলেন, এই আইন না হলে তিনি আবার নির্বাচনে দাঁড়াতেন এবং হতে পারতেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আমাদের দেশে আইন হওয়া উচিত দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কেউ ক্ষমতায় না থাকলে কিছু করতে পারেন না এটা যেমন একটা সমস্যা। আবার এটাও সমস্যা যে, কেউ বেশি ক্ষমতা পেলে হয়ে উঠতে চান স্বৈরাচারী। রাজনীতির অন্যতম সমস্যা হলো ক্ষমতার ভারসাম্য স্থাপন। একটি দেশে গণতন্ত্র সাফল্য পেতে হলে দলগুলো গণতন্ত্রী হতে হয়। আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হোঁচট খাচ্ছে। তার একটা কারণ দলগুলো গণতন্ত্রী হতে পারছে না। দলে গণতন্ত্র না থাকার প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ রাজনীতিতে।

আমরা ব্রিটিশদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের শিক্ষা পেয়েছি। ২০১৬ সালে আমরা দেখেছি গ্রেট ব্রিটেনের গণভোট। সেই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল গ্রেট ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি থাকবে না সেটা ঠিক করা নিয়ে। যা পরিচিত পেয়েছিল ব্রেক্সিট গণভোট রূপে। ব্রিটেনের ক্ষমতায় তখন ছিল কনজারভেটিভ পার্টি (রক্ষণশীল দল)। কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ডেভিড ক্যামেরন। ক্যামেরন চেয়েছিলেন ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকুক। কিন্তু গণভোটের ফল গিয়েছিল তার ইচ্ছার প্রতিকূলে। ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। অতঃপর তার দল থেকেই আরেকজন হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি হলেন থেরেসা মে, যিনি ছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিত্যাগের পক্ষে। এটা হলো দলে গণতন্ত্র থাকার একটা উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। যেটার কথা এখনো আমাদের দেশে ভাবতে পারা যায় না।

আমাদের দেশে ভোটের রাজনীতি এসেছিল গ্রেট ব্রিটেন থেকে। ‘সভা’ আর ‘সমিতি’র ধারণা প্রাচীন যুগে আমাদের দেশেও ছিল। ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ধারণা। কিন্তু ছিল না ঠিক ভোটের রাজনীতি। এর প্রচলন হয় ব্রিটিশ শাসন আমলে। যার সূচনা হয় স্থানীয় সরকারকে নির্ভর করে। ব্রিটিশ ভারতে এক সময় অনেক খ্যাতনামা নেতা অংশ নিয়েছেন স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা নির্বাচনে। যেমন ১৯২৫ সালে কলকাতা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন চিত্তরঞ্জন দাস। ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আর প্রধান কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন সুভাসচন্দ্র বসু। যাদের নাম স্মরণীয় হয়ে আছে আমাদের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাসে। কিন্তু স্থানীয় সরকার আর জাতীয় সরকারের চরিত্র এক নয়। কেননা স্থানীয় সমস্যা আর সমগ্র জাতির সমস্যার মধ্যে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান। ব্রিটিশ শাসন আমলে উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ সরকারের কর্মচারীরা পরিচালনা করতেন দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসন। তখন আমাদের দেশে প্রশাসন থাকলেও ঠিক রাষ্ট্র ছিল না। আমরা নিয়ন্ত্রিত হতাম শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দ্বারা। আমাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি বলে কোনো কিছু ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের আছে রাষ্ট্র। ফলে এখন আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি দেশ শাসনের নীতিমালা।

গণতন্ত্রের বিশেষ ভিত্তি হলো: জনমত, রাজনৈতিক দল, নিরপেক্ষ ভোট ও জনআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। কিন্তু নির্বাচনের পরেও জনঅসন্তোষ থাকলে একটা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকতে পারে না। আমরা এক সময় অনেকেই ভাবতাম বাংলাদেশে ধীরে ধীরে দ্বিদলীয় গণতন্ত্র গড়ে উঠবে, কতকটা ব্রিটেনের মতো। একদিকে থাকবে বিএনপি, আর একদিকে থাকবে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাস্তবে তা হতে পারেনি। গণতন্ত্রই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। চরম অবস্থার মধ্যে যে গণতন্ত্র টিকতে পারে না, এটাই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান দাবি গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার। কিন্তু প্রশ্ন চলে আসে যে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্রকে আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। কেননা এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একাধিক ধরনের গণতন্ত্রের উদ্ভব হতে পেরেছে। এদেশে ভারতের মতো ব্রিটিশ গণতন্ত্রের মূলধারা প্রবহমান থাকেনি।

আমাদের দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস রক্তাক্ত। এমন চরম অবস্থায় গণতন্ত্র টেকে না। এ কারণে আমাদের দেশে বারবার গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও আমরা গণতন্ত্রকে খুঁজে ফিরছি। এ অবস্থার কিভাবে উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে আমাদের বিশেষভাবে ভাবতে হবে। পর্যালোচনা করতে হবে আমাদের বিগত ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস। বস্তুত আমাদের দেশের রাজনীতি যেন হয়ে উঠেছে কার্যত ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি, দেশাত্মবোধের রাজনীতি নয়। কিন্তু শক্তিশালী দেশ গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন হয় দেশ গড়ার রাজনীতি করা। কেবলই দল গড়ার রাজনীতি করা নয়। আমাদের গড়তে হবে শক্তিশালী দেশ।

জুবায়ের হাসান : রাজনৈতিক বিশ্লেষক

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৪৮ ভোর
যোহর ১২:০২ দুপুর
আছর ০৪:৪২ বিকেল
মাগরিব ০৬:৫৩ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১৭ রাত

সোমবার ৩০ জুন ২০২৫