শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নির্বাচনের রেজাল্ট অফিসিয়ালি ঘোষণা হওয়ার পর বিরোধী দল কারা হবে তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অলরেডি বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তো অনেকেই জিতেছেন। ১৪ দলেরও দুজনের মতো জিতেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তো দূরে নয়। যিনি হাউজ অফ দ্যা লিডার হবেন তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী, নতুন লিডার অফ দ্যা হাউজ পরিস্থিতি বাস্তবতায়, করণীয় অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের প্রতিনিধি। তারা নির্বাচিত। এই নির্বাচিত সদস্য হিসেবেই সংসদে বসবেন এবং তাদের ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়া অন্য কিছু এই মুহূর্তে ভাববার অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, ২৯৯ এর মধ্যে ২২৩ আসন একা একটা রাজনৈতিক দল জিতেছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কত? অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে স্বতন্ত্রই জিতবে বেশি। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগই। ২২৩ জন রুলিং পার্টি থেকে জেতা এটা তো একটা পজিটিভ বাস্তবতা।
কাদের নিয়ে বিরোধী দল করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্ধতিটা আমি কেন আপনাকে বলব? এটা নতুন সরকার। সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এটা স্বীকৃতির জন্য নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্ব আমাদের ইলেকশনটা কেমন হয় জানতে চায়? আমরা বলেছি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ইলেকশন কন্ডাক্ট করবে। আমাদের এই কথার সাথে কাজের মিল আছে কি না গণতান্ত্রিক বিশ্ব সেটা প্রত্যক্ষ করুক সেজন্য আমরা এটা করেছি।
নির্বাচন নিয়ে করা বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক সবাই নির্বাচন দেখেছেন, প্রত্যক্ষ করেছেন এবং নিজেদের আপনাদের বিবেক আছে। পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা আছে। নির্বাচনটা কেমন হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের তীব্র বিরোধিতা ও নির্বাচন বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যেও কতটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে সেটা আপনারা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করেছেন। যা সত্য তা সব কিছুই আপনারা জানেন। আর যা কিছু মিথ্যাচার আপনারা দেখছেন। এখনও তারা মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। জনগণের রায়কে অস্বীকার করে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা যে কোনো মূল্যে সব ধরনের সহিংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে, পরাজিত করতে বদ্ধ পরিকর।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কি বলেছে সেটার ওপর তো দেশ চলে না। বিএনপি যেটা বলেছে সে অনুযায়ী তাদের আন্দোলন করে সরকার হটানো এটা তো তারা পারেনি করতে। এই নির্বাচনকে হতে দেওয়া যাবে না এই কথাও তারা বলেছে। নির্বাচন শুধু হতে দেওয়া নয়, নির্বাচন হতে দিবে না, প্রতিহত করবে সবই তো বলেছে কোনটা সত্য হলো? বলুন?
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)