বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
শেখ হাসিনা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সবচেয়ে দামি ফ্ল্যাট তার ভাগনের নামে, যিনি আবার ইংল্যান্ডের এমপি। সেগুলো এখন বেরিয়ে আসছে পত্র-পত্রিকায়। যার কারণে একজন মন্ত্রী হিসেবে তার ওপর যে দায়িত্ব ছিল সেটি পালন না করতে নিষেধ করেছে সেই দেশের সরকার।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন রিজভী। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক দল।
রিজভী আরও বলেন, তাকে (টিউলিপ) এই ফ্ল্যাট কে দিয়েছে, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। আর এ কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখতে হবে, যাতে শেখ হাসিনার মহা দুর্নীতিগুলো নিয়ে কেউ কথা বলতে না পারে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, পূর্বাচলে শুধু শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে ৬০ কাঠা জমি। তার মধ্যে শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের নামে ১০ কাঠা। বাংলাদেশের যেখানে যে জায়গা তার পছন্দ হয়েছে, সেটাই শেখ হাসিনা আত্মসাৎ করেছেন নামমাত্র একটা আইনি কাঠামোর মধ্যে। সেই আইনি কাঠামো কি? শেখ হাসিনার তৈরি করা। শেখ হাসিনা চাইলে রাজউকের ঘাড়ে কি দুইটা মাথা আছে যে তারা না করতে পারবে।
শেখ হাসিনার সুদাসদন ও গোপালগঞ্জে বাড়ি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপর ৬০ কাঠা জমি তার এবং তার বোন, মেয়ে, ছেলের নামে। সম্পদের পর সম্পদ তার। এটা আমার কথা নয়, তথ্য-প্রমাণসহ খবর প্রকাশ হয়েছে। ৮০ হাজার কোটি টাকা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে।
মির্জ সাইমা
রিজভী দাবি করেন, শেখ হাসিনার লুটপাটের সঙ্গী সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, অন্যদের কথা তো বাদই দিলাম। শুধু শেখ হাসিনা, পুতুল, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও ববির নামে পাচার হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা।
শেখ হাসিনা অন্যায়, অবিচারকে তার আঁচলের নিচে রেখে দুঃশাসন কায়েম করেছিলেন বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)