বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
জাতীয় সংসদের সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গ আসায় ‘অবাক’ হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনের কথা আসে কী করে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলতে আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে অবাক হই এরকম একটা ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনের কথা আসে কী করে। এছাড়া নির্বাচন পেছনোর বিষয়ে আলোচনা হয় কী করে।’
জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই, এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচনী সম্ভব। এজন্য সরকারকে নির্বাচন কমিশনকে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে পারি।
খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে প্রেস কনফারেন্সে ভিশন ২০৩০ ঘোষণার মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা বলা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি দফাই তো সংস্কারের প্রক্রিয়া।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সভায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই আইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে প্রধান করে প্রফেসর এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ও ব্যরিষ্টার কায়সার কামালসহ একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অবিলম্বে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভা মনে করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করা হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে সেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণ নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রশ্ন উঠে না। ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।
তিনি বলেন, সভায় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি অন্যদিকে ভ্যাট ও অন্যান্য করের হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সভা মনে করে।
ফখরুল বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহবায়ক ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি অবিলম্বে উপরোক্ত বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)