বৃহঃস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১


দীর্ঘ বিরতির পর কেন মন্ত্রীদের বাড়িতে আক্রমণ, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:৫০

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গত দুই তিনদিন ধরে যেটা হয়েছে, সেটা হঠাৎ করে ছয় মাস পরে এই চেতনা কেন? ফজরের আজানের সময় আজান না দিয়ে যদি সেটা মাগরিবের সময় দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু মানুষ বিভ্রান্ত হয়। যদি ৬/৭ তারিখ (আগস্ট) বা এক সপ্তাহের মধ্যেও ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভেঙে ফেলতো তাহলে কিন্তু জনগণ এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতো না। দীর্ঘ বিরতির পর কেন বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাড়িতে আক্রমণ ?

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রজন্ম একাডেমি ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিনা সংগ্রামে মানুষের অধিকারও কখনো আদায় হয় না। আমি আগেও বলতাম, এখনো বলছি সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, জ্ঞানপাপীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কখনো কিছু আদায় করা যায় না। রাজপথের বিকল্প নাই। আমার মনে হয় আমাদের আবার রাজপথে নামতে হবে। সময়টা এখন আমি বলতে পারছি না। হয়ত অতীতের চেয়েও কঠিন যুদ্ধ করতে হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা ১৬ বছর আন্দোলন করেছি একটা দৃশ্যমান শত্রুর বিরুদ্ধে। এই দৃশ্যমান শত্রুটা শুধু যে বিএনপির শত্রু ছিল তা না; সারা জনগোষ্ঠীর শত্রু ছিল। একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে একটা পর্যায়ে গিয়ে আমরা এই সরকারকে বিতাড়িত করতে পেরেছি। কিন্তু বর্তমান সরকারের পেছনে কি কি অদৃশ্য শক্তি আছে তা আমাদের জানা নেই। তারা কী নিজের কথায় চলে না পরের কথায় চলে তা অনুমান করা যায় না। তারা কি চায় তা আমি বুঝতে পারি না। তারা কি চায় তারা নিজেরা সেটা বুঝতে পারে কি না তা আমি জানি না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১/১১ এসেছিল বিশাল একটা সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সেটা জাতীয় জীবনে এবং রাজনৈতিক জীবনে একটি বড় কুসংস্কার হয়ে দেখা দিলো এবং লুটপাটের দৌরাত্ম্য শুরু হলো। এখন এইটার ধারাবাহিকতাই কী এই সংস্কার ? না আসলেই আমরা আমাদের রাজনীতির জীবনে যত অসুস্থতা আছে সেটা থেকে সুস্থ হওয়ার সংস্কার ? আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রথমে ২৭ দফা সংস্কার দিয়েছিলাম। পরে ডানপন্থি বামপন্থি, ইসলামপন্থিদের মতামত নিয়ে ২৭ থেকে ৩১ দফায় উন্নীত করা হয়। সবার মতামতে ভিত্তিতে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেওয়ার সময় ৩১ দফাই ছিল আমাদের মূল ভিত্তি। তাই ধরে নিতে পারি এই ৩১ দফা জনগণের একটি সনদ। এই সনদের পরে আর কি সংস্কার থাকয়ে পারে ?

তিনি আরও বলেন, ১/১১ সময় দেখেছি অনেক কিংস পার্টি জন্ম। শেষ পর্যন্ত সেই কিংস পার্টিগুলো যে কোথায় হারিয়ে গেল তার কোনো নাম গন্ধ নেই। ওরা আবার জার্সি পাল্টিয়ে আমাদের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়লো। সেকারণেই এই সরকারের যে কিংস পার্টি করার অভিপ্রায় নাই সেটা বুঝা কষ্ট।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করছি। আমরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই। বিচারের আওতায় আনতে চাই। এটা চলমান প্রক্রিয়া থাকবে আইনের দৃষ্টিতে, বিচারের দৃষ্টিতে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আমি হাসিনাকে আনতে পারবো না ততক্ষণ পর্যন্ত আমি নির্বাচন করবো না, তা তো হয় না।

গয়েশ্বর বলেন, রাজনীতিবিদদের তিরস্কার, রাজনীতিবিদদের সম্বন্ধে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য আর সরকারের নিরবতা সবকিছু মিলিয়েই মনে হয় একটা গুমোট। যেকোনো সময় একটা নিম্নচাপের মতো চাপ আসতে পারে। সেটাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সদা জাগ্রত সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আমার মনে হচ্ছে রাজপথেই এর ফয়সালা হবে। তবে এটা যদি না হতো তাহলে ভালো হতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি না হয় তাহলে রাজপথের বিকল্প নাই। সে যুদ্ধ আরও কঠিন হতে পারে। কারণ বহুমুখী অদৃশ্য শক্তিকে মোকাবিলা করতে হতে পারে। সেই প্রস্তুতি রাখবেন।

তিনি বলেন, আমরা বলবো যারা তথাকথিত বিভিন্ন অবাস্তব দাবি করছে তারা নির্বাচনের ট্রেন ফেল করানোর ধান্দায় আছে। যথা সময়ে নির্বাচনের ট্রেন ছাড়বে এবং যথা সময়ে আমরা একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেখে যেতে চাই।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৩৭ ভোর
যোহর ১২:০৪ দুপুর
আছর ০৪:৩০ বিকেল
মাগরিব ০৬:১৪ সন্ধ্যা
এশা ০৭:২৯ রাত

বৃহঃস্পতিবার ৩ এপ্রিল ২০২৫