রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রধান বিচারপতির বাড়িতে বিএনপির কোনও নেতাকর্মী হামলা করেনি বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। একইসঙ্গে ওই দিনের হামলার সঙ্গে ক্ষমতাসীন সরকারের দল (আওয়ামী লীগ) জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন জোটের নেতারা।
জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমরা জাতিসংঘের অধীনে ২৮ অক্টোবরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের ভোটের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। এই সরকারের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হতে হবে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় সমমনা জোট আয়োজিত এক দফা দাবি আদায়ে এক কালো পতাকা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
ড. ফরিদুজ্জামান বলেন, অনতিবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এছাড়া খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সব রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, পার্লামেন্ট বাতিল না করলে জনগণকে নিয়ে আমরা এমন আন্দোলন করবো, আপনারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের ভোটের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে। বাংলাদেশের সমস্ত ভোটারের ৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে যায়নি। এ নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ গঠন করা হয়েছে, সেটিকেও এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এসময় গণ-দলের চেয়ারম্যান গোলাম মওলা চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচন দেশ ও বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃতি দেয়নি। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
কালো পতাকা মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদ্য বেলাল হোসেন, এনডিপির মহাসচিব আবদুল্লাহ হারুন সোহেলসহ জোটের নেতা-কর্মীরা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)