সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপও থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা পরিষদের প্রথম দফার নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৮ মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানামতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।
গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, হিটলারের চেয়েও ভয়ংকররূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।
তিনি আরও বলেন, আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে। আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াট হাউজকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর।১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েশনাল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা তাকে মারেনও, ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তরসম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)