মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
আল্লাহ তায়ালা সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। পবিত্র কোরআনে তিনি হজের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আর মানুষের ওপর কর্তব্য হলো আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা। এটা তার জন্য যে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছোনোর সামর্থ্য রাখে। (সূরা আল ইমরান, আয়াত : ৯৭)
অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও ওমরাহ পূর্ণ করো। (সূরা বাকারা, আয়াত :১৯৬)
হজের ফজিলত সম্পর্কে এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক উমরা আরেক উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহর ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। আর হজ্জে মাবরুরের (কবুল হজ) প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। (বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩, মুসলিম, হাদিস : ১২১)
শুরু হতে চলেছে হজ মৌসুম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজযাত্রীরা যাত্রা শুরু করেছেন পবিত্র শহর মক্কায়। মক্কায় পৌঁছে হজযাত্রীদের করণীয় তুলে ধরা হলো—
১. মক্কায় প্রবেশের আগে গোসল করে নেওয়া মুস্তাহাব। বর্তমানে গাড়িচালকরা রাস্তায় গোসলের সুযোগ দেয় না, তাই মক্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে গোসল করে নেওয়া উত্তম।
২. পবিত্র শহর মক্কায় প্রবেশের সময় বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তেগফার করা, বিনয় ও আদবের সঙ্গে তালবিয়া ও দরুদ পাঠ করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক।
৩. মসজিদুল হারামের উত্তর দিক তথা জান্নাতুল মুআল্লার দিক থেকে প্রবেশ করা মুস্তাহাব।
৪. মসজিদুল হারামে প্রবেশের সময় বাবুস সালাম (২৪ নং গেট) দিয়ে প্রবেশ করা মুস্তাহাব।
৫. কাবাঘরে প্রবেশের সময় তালবিয়া পড়তে থাকা এবং আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা নিয়ে বিনয়ের সঙ্গে প্রবেশ করা।
৬. মসজিদে প্রবেশের সুন্নত ও শিষ্টাচারের প্রতিও লক্ষ রাখা আবশ্যক। যেমন— জুতা-স্যান্ডেল খুলে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা, বিসমিল্লাহ পড়া, দরুদ পাঠ করা এবং নির্ধারিত দোয়া পড়া। মসজিদে প্রবেশের দোয়া হলো, ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রহমাতিক’ (হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজা খুলে দিন)।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)