বৃহঃস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
রুকু-সেজদার তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আলা/সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম) ২ বার পড়ার পর ইমাম উঠে গেলে মুসল্লির করণীয় কী? তিনি কি ইমামের সঙ্গে উঠে যাবেন নাকি তৃতীয় তাসবিহ শেষ করে উঠবেন?
এ বিষয়ে আলেমদের মতামত হলো— এমন পরিস্থিতিতে মুসল্লির করণীয় হলো ইমামের অনুসরণ করা। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, হজরত আবু হুরায়রা রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন—
ইমামকে তার অনুসরণের জন্যই নিয়োগ করা হয়েছে। অতএব, ইমাম যখন রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর, যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ্ বলে, তখন তোমরা ‘রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বল। যখন ইমাম দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর, আর যখন ইমাম বসে (বৈঠক) নামাজ আদায় করে (ইমামতি করে) তখন তোমরাও সবাই বসে (বৈঠক) নামাজ আদায় কর। (বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদিসের আলোকে বুঝা যায়— যদি কখনো মুসল্লির তাসবিহ শেষ হওয়ার আগেই ইমাম রুকু, সিজদা থেকে উঠে যান, তাহলে মুসল্লির জন্য ইমামের অনুসরণ করে রুকু-সিজদা থেকে উঠে যেতে হবে এবং ইমামের অনুসরণেই বাকি নামাজ শেষ করতে হবে।
রুকুর তাসবিহ
হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) রুকুতে গেলে এই দোয়া পড়তেন—
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ.
উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম। অর্থ : আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। দোয়াটি তিনবার বা ততোধিক (পাঁচ/সাতবার) পড়া ভাল।
সেজদার তাসবিহ
সিজদায় আমরা সাধারণত একটি দোয়া পড়ে থাকি। সে আমাদের সবার কাছে পরিচিত এবং এতে আমরা অভ্যস্ত। দোয়াটি হলো-
আরবি :
سُبحانَ ربِّيَ الأعلَى
উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা
অর্থ : আমার প্রতিপালক সুমহান ও পবিত্র। (সাহিহুল জামি, হাদিস : ৪৭৩৪)
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)