শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে হাড়ের ক্ষয়। আর হাড়ের যে রোগগুলো সবচেয়ে বেশি হয় তার মধ্যে অস্টিওপোরোসিস অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিকভাবে বিশেষ কোনো উপসর্গ না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের প্রভাবে শুরু হয় পিঠে তীব্র ব্যথা। এমনকি কমে যেতে পারে দেহের উচ্চতাও।
মূলত মেরুদণ্ডে চাকতির মতো যে হাড় বা ডিস্ক থাকে, তা জলশূন্য হয়ে যাওয়ার কারণেই মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যায়। যার প্রভাব পড়ে গড় উচ্চতায়ও। আবার মেরুদণ্ডের হাড়ের বহুস্তরীয় চিড় ধরলেও এমনটা হতে পারে।
কেবল অস্টিওপোরোসিসই নয়, হাড়ের ক্ষয় থেকে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়স চল্লিশ পার হওয়ার পর যা আরও বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সমস্যা মোকাবিলা করতে অবশ্যই খাওয়াদাওয়া করতে হবে সঠিকভাবে।
কী কী খাবেন?
হাড় মজবুত রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিনের মতো উপকারি সব উপাদান। কোন খাবারে কী উপাদান পাবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ক্যালশিয়াম-
হাড়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু এই মৌল। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম। ক্যালশিয়ামের সবচেয়ে ভাল উৎস দুধ। তবে অনেকে রয়েছেন যারা দুধ বা দুগ্ধজাত পদার্থ খেতে পারেন না। এমন ব্যক্তিরা গাঢ় সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। পালং শাক, বাঁধাকপি, শালগম ইত্যাদি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক-
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য এই দুটো উপাদানও বেশ উপকারি। ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস কুমড়ার বীজ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, পালং শাক। আর জিংক পেতে খেতে হবে মাংস, ডিম কিংবা ডাল।
ভিটামিন-
হাড়ের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন কে। সাধারণত কিছু সময় রোদে থাকলেই ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয় ত্বকে। এছাড়া বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। সবুজ শাকসবজিতে মেলে ভিটামিন কে।
হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় প্রোটিনের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। তবে এমন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)