শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের শিবমোগা কারাগারে একজন খুনের আসামি যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন। গোপনে ওই বন্দির হাতে এসেছিল মোবাইল ফোন। এদিকে কর্মকর্তাদের রুটিন চেকআপের সময় বিপদে পড়ে যান ওই ব্যক্তি।
জেলের কর্মীদের থেকে বাঁচতে ফোনটিকে অন্য কোথাও লুকানোর বদলে দিব্যি গিলে ফেলে ওই কয়েদি! শুধু তাই নয় ওইভাবে ২০ দিন কাটিয়েও ফেলেছিল সে। কিন্তু তারপরেই পেটে অসহ্য ব্যাথা শুরু হয় তার।
অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় আর পার পায়নি সে। জেলের আধিকারিকরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সবটা সামনে চলে আসে সকলের। মোবাইল ফোনটি অপসারণ করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয় ওই ব্যক্তির দেহে।
৩৮ বছর বয়সী পরশুরাম জেল কর্মীদের কাছে গুরুতর পেটব্যথার অভিযোগ করছিলেন এবং তারা তাকে শিবমোগার ম্যাকগান টিচিং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যখন আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানিং করা হয়, ডাক্তাররা তার পেটের ভিতরে একটি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট দেখেন এবং গ্যাজেটটি অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
৭৫ মিনিটের জটিল অস্ত্রোপচারের পরে অন্ত্রের শুরুতে তার পাইলোরাসের ভিতরে একটি চাইনিজ মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।
শল্যচিকিৎসকরা মোবাইল ফোনের কীপ্যাড খুলে ফেলেন এবং জানান যে, পরশুরাম প্রায় ২০ দিন ধরে মোবাইলটি পেটের মধ্যে রেখেছিলেন।
মোবাইলটি পাকস্থলীর পাইলোরাসে আটকে থাকায় এটি মলত্যাগের মাধ্যমে বের হতে পারেনি। তাই, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল বলে জানাচ্ছেন একজন ডাক্তার। জেলে মোবাইল ফোন রাখার অভিযোগে পরশুরামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে সেখানকার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “জেলের ভেতরে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হয়। মোবাইল, মাদক ও অন্যান্য দ্রব্য কারও কাছে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। রুটিন চেপআপের সময় অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় কয়েদিরা সেই সব জিনিস শৌচাগার বা অন্য জায়াগায় লুকিয়ে রাখে। কিন্তু পরশুরাম মোবাইলটি গিলেই ফেলেছিল।”
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)