রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
দুই তরুণ হার্শিত রানা এবং আর্শদীপ সিংয়ের পাশে মোহাম্মদ শামি। ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বটা মোহাম্মদ শামির হাতে, সেটা অবধারিত। জাসপ্রিত বুমরাহ নেই, সঙ্গে মোহাম্মদ সিরাজকেও রাখা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সাফল্যের জন্য শামির দিকে তাকিয়ে থাকছে ভারত। আর সেটা অন্তত প্রথম ম্যাচে দারুণভাবে ফিরিয়েও দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞটা চালিয়েছেন বলতে গেলে একা হাতেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামীকালের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও এই পেসারের দিকেই তাকিয়ে থাকবে গৌতম গম্ভীরের দল। ইনজুরি থেকে ফিরে বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত এনসিএ-তে বড় সময় পার করেছেন। কাজ করেছেন ফিটনেস নিয়ে। আর সেটার সুফলও পাচ্ছেন দারুণভাবে।
বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচের পর সাবেক ভারতীয় পেসার নভোজিৎ সিং সিধুর সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন নিজের ফিটনেস এবং এনসিএ-তে পুনর্বাসনে থাকার সময়ে ডায়েটের কথা। স্টার স্পোর্টসের ক্যামেরার সামনে শামি জানালেন বিষ্ময়কর এক তথ্য। নিজেকে ফিট রাখতে প্রায় ১০ বছর ধরে কেবল ১ বেলা খাবার খাচ্ছেন এই পেসার।
সিধুকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে আমি দিনে কেবল একবারই খাই। কেবল ডিনার করি। ব্রেকফাস্টও না, লাঞ্চও না। এটা খুবই কঠিন তবে আপনি একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে বিষয়টা সহজ।’
গোড়ালির ইনজুরিতে প্রায় ১ বছর মাঠের বাইরে ছিলেন শামি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বৈশ্বিক আসরে প্রত্যাবর্তনের আগে শরীর থেকে কমিয়েছেন ৯ কেজি ওজন। ভারতের এই পেসারের ভাষ্য, ‘সবচে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা। আমি এনসিএ-তে ছিলাম আর ওজন ছিল ৯০ কেজি। আর ভালো দিকটা হলো, আমার সুস্বাদু খাবার খেতে মনই চাইতো না। আমি মিস্টি খাই না। আমি এমন অনেক কিছু থেকে দূরে থাকি, যেটা হয়ত কারো উচিত না। বিরিয়ানির ব্যাপারে যেটা হয়, মাঝে মাঝে তো চিট মিল হয়ই।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে প্রথম ম্যাচে জয় এনে দেয়ার পর শামির নজরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগামীকাল রোববার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী একে অন্যের মুখোমুখি হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে সবশেষ দেখায় অবশ্য ছিলেন না তিনি। কাল যদিও শামির দলে থাকা প্রায় অবধারিত।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)