শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বিপিএল নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। ব্রডকাস্টিং, ডিসিশন রিভিউসহ নানা ইস্যুতেই বড় রকমের সমালোচনার মুখে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে দশম বিপিএলে নিজেদের সেসব সমালোচনা উৎরে যাওয়ার সব চেষ্টাই করেছে বিসিবি। তাতে কিছুটা সফলও বলা যায়। অন্তত ঢাকা পর্ব শেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন আয়োজকরা।
মিরপুরের পিচে রান ওঠে না। এমন কথার জবাব দেওয়ার রসদও অন্তত আছে এখন। দিনের ম্যাচে রান না এলেও, রাতের চার ম্যাচেই রান হয়েছে। ম্যাচগুলোও শেষ হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিয়ে। তবে এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হতে পারে দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। এখন পর্যন্ত বিদেশি ক্রিকেটার কম হলেও নিজেদের মধ্যেই বড় রকমের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন দেশের ক্রিকেটাররা।
এবারের বিপিএলে ৮ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচেই সেরা হয়েছেন দেশীয় ক্রিকেটাররা। যে তিন ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটার, সেখানেও দেশের তরুণ বা অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা ছিলেন দুর্দান্ত।
প্রথম দিনে ঢাকা এবং কুমিল্লার ম্যাচে ইমরুল কায়েসের ফিফটির সঙ্গে ছিল শরিফুল ইসলামের হ্যাটট্রিক। ঢাকার জার্সিতে দারুণ ফিফটি পেয়েছিলেন নাইম শেখ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটকে ১৭৭ রানের বড় সংগ্রহ দিয়েছিলেন সিলেটেরই সন্তান জাকির হোসেন। বিপরীতে চট্টগ্রামকে জয় এনে দিয়েছেন চট্টলার লোকাল বয় শাহাদাত হোসেন দীপু।
দ্বিতীয় দিনের আলো কেড়ে নিয়েছিলেন দুই দেশি বোলার খালেদ আহমেদ এবং নাহিদুল ইসলাম। খালেদের ৪ উইকেটে ভর করে জিতেছিল বরিশাল। আর খুলনার নাহিদুল ৪ উইকেট নিয়ে হারিয়েছিলেন চট্টগ্রামকে। দুজনেই ছিলেন ম্যাচসেরা।
দুর্দান্ত ঢাকা এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন দেশের ক্রিকেটের নতুন তামিম। একরানের জন্য ফিফটি মিস করলেও তানজিদ তামিম খেলেছিলেন দারুণ একটা ইনিংস। হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। সেদিন রাতের ম্যাচে বরিশালের হয়ে উইলোর তাণ্ডব দেখিয়ছিল তিন পাণ্ডব তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিপরীতে এভিন লুইসের সঙ্গে আনামুল হক বিজয় মিলে খেলেছিলেন এবারের বিপিএলের সবচেয়ে অসাধারণ জুটি। ম্যাচ জেতে খুলনাই। আর গতকাল মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে দেশির কেউই পভাব বিস্তার না করলেও, রাতের ম্যাচে ঠিকই অসাধারণ ছিলেন মুশফিক, সৌম্য বা ইমরুল কায়েসের মত তারকারা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)