বৃহঃস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
নরওয়ের ফুটবল ক্লাব ব্রাইন এফকে আবারও আলোচনায় চলে এসেছে অদ্ভুত কারণে। ম্যাচ হারার পরও নিজেদের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করেছে। তবে আলোচনায় আসার কারণ অবশ্য এটা নয়। পুরষ্কারের ধরনটাই মূলত বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। ম্যাচসেরা ফুটবলারকে দেওয়া হয়েছে ১০০ ডিম, ২০ লিটার দুধ ও ৪০ ব্যাগ ওটমিল।
ম্যাচে ভাইকিং এফসির কাছে ১-৩ গোলে হেরেছে ব্রাইন। তবে হারের পরও ম্যাচসেরা নির্বাচন করেছে নিজেদের এক তরুণ খেলোয়াড়কে। ২১ বছর বয়সী লেফট-ব্যাক লাসে কভিগস্টাদ দলের একমাত্র গোলটি করে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
তবে পুরস্কার হিসেবে কোনো ট্রফি নয়, তাকে দেওয়া হয়েছে ৪০ ব্যাগ ওটমিল, ১০০টি ডিম আর ২০ লিটার দুধ। নরওয়ের মতো উচ্চ ব্যয়ের দেশে এই উপহারকে ভীষণ অর্থবহ মনে করছেন অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘নরওয়েতে এরকম দামের জিনিস আমি যেকোনো দিনই নিতে রাজি আছি।’ আরেকজন তো বলেই বসলেন, ‘স্পনসরের লোগো লাগানো প্লাস্টিকের পাইপের চেয়ে এটা অনেক ভালো পুরস্কার।’
ব্রাইন এফকে চলতি মৌসুমে ২২ বছর পর নরওয়ের শীর্ষ লিগে ফিরেছে। তবে ফিরে অদ্ভুত কারণে আলোচনায় আছে ক্লাবটি। ট্র্যাক্টর দিয়ে গ্যালারি তৈরি করেছে, ম্যাচসেরা খেলোয়াড়কে ডিম-দুধ দিয়ে পুরস্কৃত করছে এখন। সে তালিকায় নতুন সংযোজন লাসে কভিগস্টাদের নাম।
ব্রাইন শহরটি ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্দের প্রথম ক্লাব হিসেবে পরিচিত। শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১৩,০০০ এবং এটি কৃষিভূমি দিয়ে ঘেরা। স্টাভেঞ্জার শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরে অবস্থিত।
ব্রাইনের মাঠে দর্শক ধারণক্ষমতা ৫,০০০ এর মতো। ক্লাবটির মার্কেটিং ম্যানেজার বিয়র্ন হাগেরুপ রুকেন রয়টার্সকে কয়েক মাস আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো কৃষক পরিচয়কে সামনে আনা এবং ক্লাব ও এলাকার মধ্যে গর্ব সৃষ্টি করা।’
মাঠে ভিআইপি টিকিটের জন্য আরামদায়ক সোফা রাখা হয়, যেটি ট্র্যাক্টর দিয়ে উপরে তুলে দেওয়া হয়। মাঠের পাশে রাখা হয় শস্য মজুদের সাইলো, যেগুলো এখন ভিএআর ক্যামেরার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মাঠের এক পাশে বড় খোলা জায়গায় ট্র্যাক্টর চালিয়ে গিয়েও খেলা দেখা যায়। দর্শকরা সেখানে গাড়ির বদলে ট্র্যাক্টর নিয়ে খেলা দেখতে আসেন।
সাধারণত খেলার সেরা খেলোয়াড়কে ছোট ট্রফি দেওয়া হয়। কিন্তু ব্রাইন দেয় এমন কিছু, যা কাজে লাগে খেলোয়াড়দের। শুধু নিজেদের খেলোয়াড়ই নয়, ক্লাবটা প্রতিপক্ষের সেরা খেলোয়াড়কেও অদ্ভুত সুন্দর পুরস্কারগুলো দেয়। আর এভাবেই ক্লাবটা নতুন করে আলোচনায় আসছে, সচেতনতাও সৃষ্টি করছে বৈকি!
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)