শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে চট্টগ্রাম চ্যালঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। এদিন টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে আভিষ্কা ফার্নান্দোর অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় শুভাগত হোমের দল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় শুভাগত হোমের দল।
এদিন টসে হেরে চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন তানজিদ হাসান তামিম ও আভিষ্কা ফার্নান্দো। এদিন শুরু থেকেই মেরে খেলতে থাকেন ওপেনার তানজিদ। প্রথম ওভারে টানা ৩ চার হাঁকিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের তানজিদ তামিম। তবে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। স্কোরবোর্ডে ১২ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে আরো একবার ব্যর্থ হন ইমরানউজ্জামান। তাইজুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ৭০ রান যোগ করেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও আভিস্কা ফার্নান্দো। ৩১ রানে দীপু ফেরার পর দলকে এগিয়ে নেন আভিস্কা ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। এ দুই ব্যাটার গড়েন ৬৮ রানের জুটি।
এরপর নাজিবুল্লাহ ১৮ রান করে আউট হন। তার জায়গায় নেমে ৯ বলে ২৯ রানের এক দুর্ধর্ষ ক্যামিও খেলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এদিন আলো নিজের দিকে কেড়ে নেন আভিস্কা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি, খেলেন ৫০ বলে ৯১ রানের অপরাজিত এক দারুণ ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।
বরিশালের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আহমেদ শেহজাদ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তিনি। তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন এ পাকিস্তানি ব্যাটার। মাত্র ১৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হন শেহজাদ। তার বিদায়ের পর ধীরে ধীরেম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। যেখানে বড় ভূমিকা রাখেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ইনিংসের মিডল ওভারে চার উইকেট শিকার করে একাই প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেন তিনি।
সাজঘরে ফেরার আগে তামিম ৩৩ ও সৌম্য সরকার ১৭ রান করেন। ক্যাম্ফারের অপর দুই শিকার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইয়ানিক কারিয়াহ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তবে শেষদিকে আবার লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন মিরাজ ও মুশফিক। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৭ রানের জুটিতে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মিরাজ ও মুশফিক।
তবে ১৬ বলে ৩৫ রানে মিরাজ আউট হলে সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। শেষদিকে মুশফিকের ২৩ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় শুভাগত হোমের দল।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)