বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নিলে যেকেউ নিজেকে কিঞ্চিৎ সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। আর তিনি যদি হয়ে থাকেন ফুটবলের ভক্ত, তবে দিনটা হতে পারে আরও বেশি দুর্দান্ত। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেইমার জুনিয়র, কার্লোস তেভেজ, জর্জ হাগি, আদনান জানুযাজ, সিজার মালদিনি, রদ্রিগো পালাসিওসদের মত ফুটবলারদের জন্ম এই একই তারিখে।
১৯৮৫ সালের এই দিনে মাদেইরাতে জন্ম হয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ইতিহাসের সেরা গোলস্কোরার নিজ সময়ের তো বটেই, তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরাদেরও একজন। তরুণ রোনালদো স্পোর্টিং সিপি থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসে নিজেকে মেলে ধরেন বিশ্বের দরবারে।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে খেলে নিজেকে করে তুলেছিলেন সময়ের সেরা তারকা। ২০০৮ সালে জেতেন মর্যাদাপূর্ণ ব্যালন ডি’অর। ২০০৯ সালে রেকর্ড ট্রান্সফারে চলে যান রিয়াল মাদ্রিদে। সেখানেই সিআরসেভেন নিজের সেরা সময় পার করেছেন। চারটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ব্যালন ডি অর, লা লিগাসহ ফুটবলের সম্ভাব্য সব ট্রফিই জয় করেছেন লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি।
২০১৮ সালে তিনি পাড়ি জমান ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্তাসে। সেখানে তিন মৌসুম কাটিয়ে ফেরেন ম্যান ইউনাইটেডে। যদিও তিক্ত সম্পর্ক নিয়ে ২০২২ সালে ইউনাইটেড ছাড়েন তিনি। বর্তমানে আছেন সৌদি ক্লাব আল-নাসরে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইরানের কিংবদন্তি আলী দাইয়িকে ছাড়িয়ে হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। জিতেছেন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব ইউরোর শিরোপা।
নেইমারের জন্ম ফুটবলের উর্বরভূমি ব্রাজিলে। যেখানে অলিতে-গলিতে জন্ম নেয় ফুটবলার। ১৯৯২ সালে সেখানেই জন্ম নেন নেইমার জুনিয়র। ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে দলবদলের রেকর্ড আছে তার নামের পাশে। খেলেছেন কিংবদন্তি পেলের স্মৃতিবিজড়িত ক্লাব সান্তোসে। সেখান থেকে আসেন বার্সেলোনায়। লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজকে নিয়ে গড়েন বিখ্যাত ‘এমএসএন’ ত্রয়ী। ২০১৫ সালে জেতেন ট্রেবলও।
২০১৭ সালেই অবশ্য রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে চলে যান পিএসজিতে। সেখান থেকে নিজের ঠিকানা করেছেন সৌদি ক্লাব আল-হিলালে। নিজের প্রজন্মের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড় অবশ্য ইনজুরির কারণেই হারিয়েছেন ক্যারিয়ারের অনেক সেরা সময়।
আর্জেন্টাইন কার্লোস তেভেজকেও ফুটবল দুনিয়া মনে রাখবে তার আগ্রাসী খেলার জন্য। বর্তমানে কোচিং পেশায় আসা এই স্ট্রাইকার নিজের সময়ে ছিলেন অন্যতম সেরা। ওয়েইন রুনি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদের সঙ্গে ম্যানইউতে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। খেলেছেন ম্যানসিটির জার্সিতেও। সিটির বড় ক্লাব হয়ে ওঠার চেষ্টায় তিনি ছিলেন প্রথম দিকের সাইনিং।
আশি এনং নব্বই দশকের অন্যতম সেরা এবং রোমানিয়ার ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরা তারকা জর্জ হাগি। বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ দুই ক্লাবেরই খেলোয়ার ছিলেন হাগি। বর্তমানে যুক্ত আছেন কোচিং পেশায়। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ইতালির সিজার মালদিনিও একই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেন। ১৯৬৩ সালে মিলানকে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ এনে দিয়ে অধিনায়ক মালদিনি ক্লাবটির প্রতীক বনে যান। পরে কোচ হয়েও দুই দফায় মিলানের ডাগআউটে এসে জিতিয়েছেন উয়েফা কাপ, উইনার্স কাপ ও ইতালিয়ান কাপ।
এছাড়া কোচিংয়ে খ্যাতি পাওয়া সাবেক সুইডিশ রাইটব্যাক সোয়েন-গোরান এরিকসনের আগমনী সময়ও একই। ১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া এরিকসন ক্লাব ও জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে ‘সুইডিশ আইসম্যান’ খেতাব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ এবং সুইডেন, পর্তুগাল ও ইতালিতে ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)