শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গুঞ্জন ছিল কৃত্রিম টার্ফের ম্যাচ হওয়ায় ইন্টার মায়ামির ম্যাচটিতে বিশ্রামে থাকতে পারেন লিওনেল মেসি। এমনকি চোটের অস্বস্তি ছিল লুইস সুয়ারেজেরও। তবে দুজনেই মাঠে নেমেছেন, ইতিহাস গড়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। জোড়া গোলের পাশাপাশি মেসি আরও এক গোলে সহায়তা করেছেন। তাদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষ নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশন ৪-১ গোলে উড়ে গেছে।
আজ (রোববার) সকালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নামে মেসিবাহিনী। জিলেট স্টেডিয়ামের কৃত্রিম টার্ফেও নিজের স্বভাবজাত খেলা দেখিয়েছেন মেসি। যদিও ম্যাচের বয়স যখন মাত্র ৪০ সেকেন্ড, তখনই স্বাগতিকরা এক গোলে এগিয়ে যায়। সেটাই শেষ পর্যন্ত কাল হলো তাদের, এরপর গোল দেওয়া দূরে থাকা এক হালি গোল হজম করেছে নিউ ইংল্যান্ড।
শুরু থেকেই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে গেলেও, গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৩২ মিনিট পর্যন্ত। রবার্ট টেলরের অ্যাসিস্টে অসাধারণ এক গোলে মায়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি। প্রায় ৬০ হাজার স্বাগতিক দর্শকদের সামনেই উল্লাসে মাতে মায়ামি। ফলে ফ্লোরিডার ক্লাবটি প্রথমার্ধ শেষ করে ১-১ সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আগ্রাসী মেসি–সার্জিও বুসকেটসরা। সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থকে সঙ্গী বানিয়ে পরের গোলটিও আসে মেসির পা থেকে। বুসকেটসের রক্ষণচেরা পাস পেয়ে ৬৭ মিনিটে দলের এবং নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন এই আর্জেন্টাইন। মায়ামির বাকি দুই গোলেও ছিল তার অবদান। এর আগে ৮৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চি যে গোলটি করেছেন, সেটিতেও জড়িয়ে আছে মেসির নাম। প্রথমে মেসির বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট নিউ ইংল্যান্ডের গোলকিপার সামনে পাঞ্চ করে দেন। বল চলে যায় বক্সের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিমাশ্চির কাছে। তিনি সহজেই সেটি জালে জড়ান।
খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে সুয়ারেজকে দিয়ে গোল করান মেসি। ৮৮ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত পাস থেকে পাওয়া বলে ইন্টার মায়ামিকে চতুর্থবার গোলের আনন্দে মাতান সুয়ারেজ। আর এতে ইতিহাসও গড়ে ফেলেন মেসি। এমএলএসের চলতি মৌসুমে তার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৯–এ। ৭ ম্যাচের ৬টিতেই তিনি গোল পেয়েছেন। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন মায়ামির প্রধান এই তারকা। যা মৌসুমের ৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলে ভূমিকা রাখার রেকর্ড বলে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে মায়ামি।
এছাড়া আজকের জোড়া গোলে রিয়েল সল্ট লেকের কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান আরাঙ্গোকে (৮) ছাড়িয়ে এবারের এমএলএসের গোলদাতার তালিকার শীর্ষেও উঠে গেছেন মেসি। এ নিয়ে চলতি মৌসুুেম তিন ম্যাচে তিনি জোড়া গোল করেছেন। তার দলও তার সমান প্রতিফল পেয়েছে। আগের ম্যাচ জিতেই মায়ামি এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে উঠেছিল। সেই ম্যাচে জোড়া গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট ছিল মেসির।
এ নিয়ে ১১ ম্যাচে ৬টি জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান শক্ত করল মায়ামি। দুই কনফারেন্স মিলিয়েও একই অবস্থানে মেসির দল। দ্বিতীয় স্থানে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির পয়েন্টও ১১ ম্যাচে সমান ২১। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার কারণে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। ইন্টার মায়ামির গোল ব্যবধান ১০, গ্যালাক্সির ৬।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)