বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের অর্জনের মুকুটে আরও পালক যুক্ত হলো। আইরিশদের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরুর পর গতকাল (রোববার) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার দল। ম্যাচটিতে রান না পেলেও একটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেছেন অধিনায়ক বাবর আজম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় টি-টোয়েন্টিতে নেতা হিসেবে বাবরের ৪৫তম। বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে এত ম্যাচ কোনো অধিনায়ক জেতেননি। এতদিন উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবার সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে ছিলেন বাবর। মাসাবা ৫৬টি ম্যাচের মধ্যে ৪৪টি জিতেছেন। বাবর ৭৮টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ৪৫টি ম্যাচে।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। ৭২টি ম্যাচের মধ্যে ৪২টি জিতেছেন তিনি। আফগানিস্তানের অধিনায়ক আসগর আফগান ৫২টি ম্যাচের মধ্যে ৪২টি জিতেছেন। ভারতের দুই অধিনায়ক রয়েছেন এর পরপরই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ৭২টি ম্যাচের মধ্যে ৪১টিতে জিতেছেন। রোহিতও ৪১টি ম্যাচে জিতেছেন। তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫৪টি ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ৭৬টি ম্যাচের মধ্যে ৪০টি জিতেছেন।
এ ছাড়া আগের ম্যাচেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করার কীর্তি গড়েছিলেন বাবর। এতদিন এই রেকর্ডটি সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের দখলে ছিল। পাকিস্তানকে তিনি ৭৮ ম্যাচে (গতকালকের ম্যাচসহ) নেতৃত্ব দিয়েছেন। যা আন্তর্জাতিক ফরম্যাটটিতে কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ম্যাচ নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৬ ম্যাচ অধিনায়কত্ব করেছেন সাবেক অজি ওপেনার ফিঞ্চ।
এ ছাড়া মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতের হয়ে ৭২, ইয়ন মরগান ইংল্যান্ডকে ৭২ এবং কেইন উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ডকে ৭১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)