বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১


একঘেয়ে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত:১৮ মে ২০২৪, ১৩:১৪

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দল যখন হাউসটনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছায়, তখনও ঘূর্ণিঝড় থামেনি। তবে ঝোড়ো হাওয়াতেও ক্রিকেটারদের বহনকারী বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে সমস্যা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের চাকচিক্যময় শহর ডালাসে গত পরশু ভোরে (ঢাকার সময়) পৌঁছালেও গতকাল ক্রিকেটীয় অনুশীলন ছিল না। ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানান, হোটেলে জিম ও সুইমিংয়ে সীমিত রাখা হবে কার্যক্রম।

ভ্রমণ ক্লান্তি কাটিয়ে আজ থেকে মূল অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্তরা সিরিজ খেলতে নামবেন এর দু’দিন পর। স্বাগতিকদের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় এ সিরিজ দিয়ে ডালাসের কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে বাজিমাত করতে চায় টাইগার বাহিনী। হাউসটনের প্রেইরি স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের সব ম্যাচ। আইসিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া গা গরমের দুটি ম্যাচের প্রথমটি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২৮ মে এই ভেন্যুতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচটি ভারতের বিপক্ষে ১ জুন। তবে ম্যাচটির ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো খর্ব শক্তির দলের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলে লাভ হবে কিনা। ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন কন্ডিশন বুঝতে ম্যাচগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে তা পানসে হয়ে যেতে পারে। খেলোয়াড়দের ভেতরে একঘেয়েমি চলে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৮ জুন ডালাসের প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে তারা। দ্বিতীয়টি নিউইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। তাঁর মতে, উভয় দলই বিশ্বাস করে জিততে পারবে। কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে রেসে এগিয়ে থাকার জন্যই কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ডালাসে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজটি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যুও এটি।

একই দলের বিপক্ষে টানা চারটি ম্যাচ খেলে কতটা লাভ হবে জানতে চাওয়া হলে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘একটি দলের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলা সমস্যা না। তবে ভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলতে পারলে ভালো হতো। তাতে করে পরিকল্পনায় ভিন্নতা থাকত। নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নিতে হতো খেলোয়াড়দের। একই ভেন্যুতে চারটি ম্যাচ খেলার লাভও আছে। কন্ডিশন সম্পর্কে পরিপূর্ণ একটা ধারণা তৈরি হবে। শুধু উইকেট বোঝা নয়, মাঠ এবং এর পরিবেশ নিজের মনে হওয়ার ব্যাপার আছে। একই মাঠে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতিটি জায়গা মুখস্থ হয়ে যায়। তাতে করে ফিল্ডিংয়ে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। প্রেইরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। যেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। কন্ডিশন পরিচিতির ক্ষেত্রে এটা কাজে দেবে।’

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:২৯ ভোর
যোহর ১১:৫৩ দুপুর
আছর ০৪:১৭ বিকেল
মাগরিব ০৬:০৩ সন্ধ্যা
এশা ০৭:১৬ রাত

বৃহঃস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪