সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আইসিসির সহযোগী সদস্য ও ক্রিকেট বিশ্বে নবীন দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অথচ সেই দলটিই কিনা সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আপসেটের জন্ম দিলো গতকাল (মঙ্গলবার)। এর আগে যদিও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমেরিকানদের হারানোর রেকর্ড ছিল। দ্বিতীয় পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে এবার তারা বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে। আইরিশদের চেয়ে টাইগার ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা বেশি, ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বাগতিকদের জন্য কালকের জয়টি অনেক বড়!
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ৩ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে। রানতাড়া করার পথে হারমিত সিং ও কোরি অ্যান্ডারসন ছয় হাঁকিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামদের মতো অভিজ্ঞ পেসারদের। এক্ষেত্রে মুস্তাফিজদের দুর্বলতা বের করেছেন ম্যাচসেরা হওয়া হারমিত। মাত্র ১৩ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করা এই বাঁ–হাতি ব্যাটার মনে করেন, বাংলাদেশ তাদেরকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি।
ম্যাচ শেষে তিনি জানান, ‘আমরা ভেবেছিলাম মুস্তাফিজ বাতাসের বিপরীতে বোলিং করবেন। কিন্তু যখন ওকে দেখেছি বাতাসের দিক থেকে বোলিং করতে, তখন ভেবেছি অন্য প্রান্ত থেকে কোনো ওভারে ২০ রান নেওয়ার সুযোগ আছে আমাদের। হতে পারে তারা আমাদের গুরুত্ব দেয়নি, অথবা অন্য কিছু, আসলে এটা আমি জানি না। তবে মুস্তাফিজের ৪ ওভার শেষ করে দেওয়ায় আমরা শেষ ওভারে ২০ রানও নিতে পারব—এমন বিশ্বাস ছিল আমাদের।’
তবে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করা যাবে বলে শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল এই তারকা অলরাউন্ডারের, ‘উইকেট যেমন ছিল, তাতে এই রান ১৮তম ওভারে তাড়া করতে পারব বলে ভরসা ছিল। আমরা এমন ধীরগতির উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত। বাংলাদেশিদের জন্য হয়তো এটা কঠিন মনে হয়েছে, যে কারণে তারা একটু ধীরে এগিয়েছে। ব্যাটসম্যানদের প্রতি সম্মান জানাই, তারাই আমাদের লড়াইয়ে রেখেছে। যখন আমাদের শেষ ৪ ওভারে ৫০ রান লাগত, তখনও এই রান তাড়া করতে পারব বলে নিজের প্রতি ভরসা ছিল।’
এভাবে যুক্তরাষ্ট্র দলটিকে জেতানোর মতো আরও বেশ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছেন বলে মন্তব্য হারমিতের, ‘ম্যাচ শুরুর আগেও সতীর্থদের বলেছি, বাংলাদেশ কাগজে–কলমে ভালো দল, তবে লড়াই ছাড়াই যদি আমরা খেলি, সেটি ভালো কোনো বার্তা দেবে না। আমরা আমাদের হোম কন্ডিশন জানি। এখানকার সবকিছুই আমাদের পরিচিত। টি-টোয়েন্টিতে দুয়েকটি ভুল, বিশেষত পাওয়ার প্লেতে তাদের আমরা পিছিয়ে দিই। যা ম্যাচটিকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করেছে। এমন জয়ের সুযোগ সবসময় পাব না। তবে আমাদের দলে জেতানোর মতো যথেষ্ট ক্রিকেটার আছে।’
মুস্তাফিজ দুই উইকেট নিয়ে শুরুতে স্বাগতিকদের চাপে ফেললেও, শেষ দুই ওভারে ৩২ রান দিয়ে কার্যত ম্যাচ তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। যা টাইগার বোলারদের মধ্যে তাকে সবচেয়ে বাজে ইকোনমিও (১০.২৫) উপহার দিয়েছে। তিন ম্যাচের প্রথমটিতে জিতে টি–টোয়েন্টি সিরিজে ১–০ ব্যবধানে লিড নিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। একই ভেন্যুতে আগামী ২৩ মে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)