বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চলতি কোপা আমেরিকা লিওনেল মেসির জন্য ঠিক ‘মেসি-সুলভ’ ছিল না। মেসির কড়া সমর্থকও অবলীলায় মেনে নেবেন এই বক্তব্য। ২০২১ সালে জিতেছিলেন কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ফাইনাল ছাড়া দলের সব ম্যাচেই গোলে কিংবা অ্যাসিস্টে অবদান ছিল মেসির। কিন্তু এবারের চিত্রটা একেবারেই আলাদা।
পুরো আসরেই কিছুটা খোলসবন্দী হয়েই ছিলেন এলএমটেন। একটামাত্র অ্যাসিস্ট ছিল তার নামের পাশে। তবে সেমিফাইনালে ঠিকই নিজেকে চিনিয়েছেন এই তারকা। দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। পেয়েছেন গোলের দেখাও।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ বল পেয়েছিলেন কানাডা রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে। ডি বক্সের কাছাকাছি থেকে জোরালো শট নেন এই মিডফিল্ডার। তাতে শেষ সময়ে পা ছুঁইয়ে বলের দিক পরিবর্তন করেন লিওনেল মেসি। বল জড়ায় কানাডার জালে। গোলের পর অফসাইড নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি শেষ পর্যন্ত গোলের সিদ্ধান্ত দেন।
এমন গোলের পর এনজো ফার্নান্দেজের গোল কেড়ে নেয়ার কথাও বলেছেন কেউ কেউ। তবে মেসি নিজে এমন গোলের পেছনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আর্জেন্টিনার ম্যাচ শেষ টিওয়াইসি সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে মেসি নিজেই দিয়েছেন এমন করার ব্যাখ্যা।
মিক্সড জোনে সাংবাদিক মাথিয়াস পেলেচ্চিওনির প্রশ্নে মেসি জানান, ‘আমি এঞ্জোকে বলেছি যে ওর গোল কেড়ে নেয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। কিন্তু আমি দেখলাম যে গোলকিপার ঠিকঠাক জায়গায় ছিল, এঞ্জোর শট ধীরগতিতে আসছিলো। এজন্য বলের দিক কিছুটা পরিবর্তন করে দিই।’
শেষ পর্যন্ত মেসির ওই গোলের সুবাদে লিড দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। মেসিও পেয়ে যান আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের ১০৯তম গোল। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)