রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে খারাপ সময়ের মুখোমুখি অনেকবারই হতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। কখনো আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন, কখনো বা খারাপ ফর্ম কিংবা ভক্তদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে সমালোচিত হতে হয়েছে। তবে এবার যেন সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে নীরব থাকায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয়।
গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এরই মধ্যে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর তাতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মাত্র কয়েক মাসের মাথায় সংসদ সদস্যের পদও খোয়া গেছে সাকিবের। ভক্তদের সমালোচনার বাণ, দলের পতন ভুলে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলছেন সাকিব। অবস্থাদৃষ্টে ভবিষ্যতে তার খেলা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে থেকেই দেশের বাইরে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও তার দেশে আসা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে নিজ জেলা মাগুরা থেকে দলটির সংসদ সদস্য হওয়ার সুবাদে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। যার রেশ ধরে পাকিস্তানে খেলতে বাংলাদেশ দলে থাকা সাকিবকে অপসারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচাইতে অভাগা একজন রাজনীতিবিদ যার ৬/৭ মাস রাজনীতির ক্যারিয়ারে পাঁচ মাসের মতই ছিলেন দেশের বাইরে ।
সাকিবের এমন দুর্দিনে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার সতীর্থরা। এক সময়ের জাতীয় দল সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেন এক পোস্টে লিখেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচাইতে অভাগা একজন রাজনীতিবিদ যার ৬/৭ মাস রাজনীতির ক্যারিয়ারে পাঁচ মাসের মতই ছিলেন দেশের বাইরে। আপনি সংসদ সদস্য হয়ে কিছু পাওয়ার চেয়ে হারিয়েছেন অনেক কিছু। বাংলাদেশের সমস্ত ক্রিকেটার আপনার পাশে আছে, সাকিব ক্রিকেটেই সুন্দর রাজনীতিতে নয়।
এদিকে, আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম সাকিবের সাথে দুটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, সবসময়ই ভালবাসার আরেক নাম সাকিব আল হাসান আছে থাকবে। এ ছাড়া সাব্বির রহমান লিখেছেন, Shakib Al Hasan. যার জন্য বিশ্ব ক্রিকেট বাংলাদেশকে চেনে। শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকবে সব সময়।
প্রসঙ্গত, গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ২২ আগস্ট ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করা হয়। সাকিবকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনকে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)