বৃহঃস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করেছে। তাই ব্যক্তিগত, দাপ্তরিক ও রাষ্ট্রীয় তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ডিজিটাল স্বাক্ষর বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক-এর কার্যালয় (সিসিএ কার্যালয়) ও ইউজিসি যৌথভাবে কমিশনের অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কমর্শালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান ও ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম।
ইউজিসি’র ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুক’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিএ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক এটিএম জিয়াউল ইসলাম।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, অনেক আগেই আমরা ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি। ডিজিটাল জগৎ নিরাপদ রাখতে তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
ডিজিটাল স্বাক্ষর বিষয়ক এ কর্মশালা সরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্য আদান-প্রদান সুরক্ষিত করতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, ডিজিটাল স্বাক্ষরের ব্যবহার তথ্যের অবিকৃত আদান-প্রদান, তথ্য প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর পরিচিতি নিশ্চিত করে। অধিক ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে এ পদ্ধতিকে ব্যয় সাশ্রয়ী করার আহ্বান জানাই। এ পদ্ধতি কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে তা নির্দিষ্ট করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল স্বাক্ষর নিশ্চিত করা সম্ভব হলে প্রতিষ্ঠানসমূহে জালিয়াতি প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ হ্রাস পাবে এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে বার্তা আদান-প্রদান করলে পরবর্তীতে সেটি অস্বীকার করার সুযোগ থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যুকৃত সনদে ডিজিটাল স্বাক্ষরের ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সনদ জালিয়াতির প্রবণতাও রোধ করা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় সিসিএ কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (আইটি সিকিউরিটি) নাজনীন আক্তার ইউজিসি’র আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ডিজিটাল স্বাক্ষর বাস্তবায়ন ও ইউজিসি’র করণীয় শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন। কমিশনের ৫ম গ্রেড থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সিসিএ কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)