রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহিত
বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত ও পেশাগত যোগাযোগের প্রধান ভরসা ই-মেইল। ব্যাংকিং তথ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লগইন কিংবা অফিসিয়াল ডকুমেন্ট- সবই জমা থাকে সেখানে। গুগলের জনপ্রিয় ই-মেইল প্ল্যাটফর্ম জি-মেইল ব্যবহার করছেন এখন ২.৫ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ। ফলে হ্যাকারদের জন্য এটি বড় টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের রিপোর্টে উঠে এসেছে, হ্যাকাররা নতুন কৌশলে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি গুগলের বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁসের আশঙ্কার কথাও শোনা যাচ্ছে।
তবে কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ মেনে চললে জি-মেইল অ্যাকাউন্ট অনেকাংশে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখা, ফিশিং ই-মেইল এড়িয়ে চলা এবং গুগলের সিকিউরিটি চেকআপ ব্যবহার করা জরুরি। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কী?
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হলো এমন একটি কোড যা সহজে অনুমান করা যায় না এবং পরীক্ষার মাধ্যমে ভাঙাও কঠিন। এজন্য নিয়মিত সময় পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। কোথাও লিখে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন—
কমপক্ষে ১২ অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
তাতে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন (@, $, &, - ইত্যাদি) একসঙ্গে রাখতে হবে।
জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, নাম বা সহজে অনুমেয় তথ্য ব্যবহার করা যাবে না।
এক পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করাই উত্তম।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরির টিপস
ইংরেজি অভিধানের সাধারণ শব্দ এড়িয়ে চলুন।
৮ থেকে ১২ ক্যারেক্টরের চেয়ে বড় পাসওয়ার্ড বেছে নিন।
বড় ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন মিলিয়ে বানান।
ব্যক্তিগত তথ্য যেমন জন্মতারিখ, নাম বা প্রিয়জনের নাম ব্যবহার করবেন না।
সাইবার হুমকির এই যুগে সচেতনতা আর শক্তিশালী পাসওয়ার্ডই হতে পারে আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)